পটুয়াখালীতে শিশুকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার মাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) পটুয়াখালী সদর প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনটি করেন ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার
পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামে ১১ বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল একই বাড়ির হাসিব প্যাদা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসিব প্যাদা ভুক্তভূগী শিশুকে উত্যক্ত এবং তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করার সময় শিশুর মা মোসা. রেকসনা বেগম ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ জানায়। আর এই প্রতিবাদ জানানোর জন্য ওইদিন বাড়ি ফেরার পথে উত্যক্তকারী হাসিব প্যাদা, তার বাবা জসিম প্যাদাসহ ছয় থেকে সাতজন মিলে ভুক্তভূগীর বড় ভাই শাহজাদা এবং তার মা রেকসনা বেগমের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় রেকসনা ও তার ছেলে শাহাজাদা গুরুতর আহত হলে তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় শিশুটির মাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং শিশুর বড় ভাই শাহাজাদাকে মেরে তার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও তাদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. মানিক প্যাদা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। এই ব্যবসা করেই আমার পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করি। জসিম প্যাদাসহ তার ভাইয়েরা, তার ছেলে হাসিব প্যাদা, আমি ও আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে একই বাড়ির পাশাপাশি বাস করি। একই বাড়িতে থাকার কারণে বিভিন্ন বিষয়ে তারা আমাদের শত্রু মনে করে। এ ঘটনার রেশ ধরে হাসিব প্যাদা আমার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে সব সময় উত্যক্ত করত। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার সময় উত্যক্ত করে হাসিব। এর প্রতিবাদ করায় মেয়ের মাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়। সে সময় বড় ভাই শাহাজাদা এগিয়ে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে জসিম ও তার ছেলেসহ ৫-৬ জন।
বর্তমানে আহতরা পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ সময় আহতদের সাথে থাকা স্বর্ণ অলংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং ন্যায়বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার পটুয়াখালী সদর থানার প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে আমি আমার সন্তানদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমার দাবি, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মামলা গ্রহণ করেছি। প্রথমে মামলাটির দায়িত্বে যেই অফিসার ছিলেন তাকে নিয়ে মামলা দায়েরকারীর একটু আপত্তি থাকায় মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। বাদী বিবাদীরা একই বাড়ির। তবে যে অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম