শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ৮ ডাকাতকে গণপিটুনির ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো ১ ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জন।
শনিবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ডাকাতের মৃত্যু হয়। তবে নিহত ডাকাতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান। এসআই বলেন, শুক্রবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ ডাকাতকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। এরমধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় একজনের মৃত্যু হয়। তবে তাঁর নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতির চেষ্টা করে। পরে তাদের ধাওয়া দেয় উৎসুক জনতা। এসময় কীর্তিনাশা নদী দিয়ে স্পিডবোট নিয়ে পালিয়ে শরীয়তপুরের ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের গতিপথ রোধ করে। এসময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হয় বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় ৭ জনকে আটক শেষে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের সদর হাসপাতালে আনা হলে ২জন ডাকাতকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে আহত ৫ ডাকাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
পালিয়ে যাওয়া আরো এক ডাকাতকে শনিবার সদর উপজেলার আড়িগাঁও এলাকায় গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়াও শুক্রবার রাতে দুই দফায় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে ৪ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়।
কেকে/ এমএস