ইমপ্রেস এভিয়েশন দ্বারা পরিচালিত আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে খুলনা বিভাগের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রোগী স্থানান্তর পরিষেবা চালু করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান আদ-দ্বীন হাসপাতাল।
শনিবার (১লা মার্চ) দুপুরে যশোরের পুলেরহাট আদ-দ্বীন সাকিনা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে ‘Free Patient Transportation Service by Helicopter’ উদ্বোধন কালে আইনের মধ্যে ভবিষ্যতে কেউ Free Patient Transportation by Helicopter এমন উদ্যোগ গ্রহণ করলে, Civil Aviation থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, খুলনা বিভাগের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন যে বিনামূল্যে রোগী পরিবহন সেবা চালু করেছে, তা নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ সংকটাপন্ন অসচ্ছল রোগীদের দ্রুত ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি উল্লেখ করেন, জরুরি চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে অনুধাবন করে ইমপ্রেস এভিয়েশন পরিচালিত আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন Bell 505 হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এই সেবা চালু করেছে, যা মানবতার সেবায় এক বিশাল অগ্রগতি। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার, কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনো উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু এমন মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষ খুব সহজে এই সেবা পাবে। প্রধান অতিথি আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ শুধু একটি সেবা নয়, এটি মানবতার এক অনন্য নিদর্শন।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন বাংলাদেশকে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে বেবিচক ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ লক্ষ্যে বিমানবন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন, টার্মিনাল সম্প্রসারণ এবং এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পাশাপাশি, শাহ আমানত ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়ন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ এবং সৈয়দপুরসহ অন্যান্য আঞ্চলিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এভিয়েশন খাতের এ উন্নয়ন যাত্রীসেবা, কার্গো পরিবহন এবং বৈশ্বিক কানেক্টিভিটি আরও সহজ করবে। একই সঙ্গে, বিনিয়োগ, পর্যটন, বাণিজ্য ও জরুরি সেবায় বিমান চলাচলের ভূমিকা আরো শক্তিশালী হবে। এটি দেশের সার্বিক এভিয়েশন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা), সদস্য (এটিএম), সদস্য (অর্থ), সদস্য (এফএসআর), আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের ইউরোলজি অ্যান্ড অ্যাডভাইসরের হেড, আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান, যশোরের ডিসি, ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরটির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্টসহ অন্য অতিথিরা।
কেকে/এএস