রমজান মাসের শুরুতেই লেবুর বাজারে ব্যাপক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রোজা ও গরমের কারণে চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা লেবুর দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
রোববার (১ মার্চ) ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার কাঁচা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন আকার ও জাতের লেবু তোলা হয়েছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে এলাচি লেবু (লম্বাটে আকৃতির), কলম্বো (গোল আকৃতির) ও কাগজি লেবু। বিক্রেতারা জানান, আকৃতিভেদে লেবুর দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে যে লেবুর হালি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, সেই লেবুর দাম এখন সর্বনিম্ন ৭০-৮০ টাকা হয়ে গেছে। আকার ও জাতভেদে হালি প্রতি লেবুর দাম ১০০-১২০ এমনকি ২০০ টাকায়ও পৌঁছেছে।
এক ব্যবসায়ী মাজহার উদ্দিন জানান, তিনি চার ধরনের লেবু এনেছেন। বড় আকৃতির এক ধরনের লেবুর হালি ১০০ টাকা দামে কিনতে হয়েছে, লম্বাটে বড় জাতের লেবুর হালি ৮০ টাকা, আর ছোট-মাঝারি আকৃতির লেবুর হালি ৬০ টাকা, যা সবচেয়ে কম দাম। এমনকি পাইকারি বাজারেও সবচেয়ে ছোট লেবুর দাম ১৫-২০ টাকা প্রতি পিস।
আরেক বিক্রেতা আব্দুল মুকিত জানান, দাম বেশি হলেও মান ভালো। প্রতিবছর রোজার আগে লেবুর দাম বেড়ে যায়, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণে শরবতের জন্য লেবুর চাহিদা আরো বেড়েছে।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ৪০ টাকার হালি লেবু এখন ৮০-৯০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো রমজান মাসজুড়েই দাম চড়া থাকবে, তবে পাহাড়ি লেবু বাজারে এলে কিছুটা দাম কমতে পারে।
দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজার করতে আসা মাছমু মিয়া বলেন, রমজানের বাজার করতে এসে দেখি লেবুর দাম আকাশছোঁয়া। সততা বাণিজ্যলয়ে ভালো মানের লেবুর হালি ১০০-১২০ টাকা, বড় লেবুগুলোর দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত। বাধ্য হয়ে ১০০ টাকায় এক হালি কিনলাম। যদি দাম না কমে, তাহলে শরবতের জন্য লেবুর বদলে অন্য কিছু ব্যবহারের কথা ভাবতে হবে।
রমজানের শুরুতে লেবুর দাম যেভাবে বেড়েছে, তা ক্রেতাদের জন্য বেশ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারেই দাম বেশি থাকায় তারা কমিয়ে বিক্রি করতে পারছেন না। তবে পাহাড়ি লেবু বাজারে এলে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।
কেকে/এএম