ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও কর্মী মারুফ আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত সমাজকল্যাণ বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আসলে তাদের মারধর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, সমাজকল্যাণ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হলে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ঐ নেতা ও কর্মী পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই অন্য শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা অনুষদ ভবনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ জানান। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের নেতারা উপস্থিত হয়ে তাদের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে রক্ষা করে থানায় সোপর্দ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আটক নাঈম ও মারুফ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেন। তারও আগে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। আন্দোলনে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। আজকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘বিভাগের শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় আটক দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ওখানে একটা মব তৈরি হয়েছিল, প্রায় ৭০-৮০ জন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সেখানে সমবেত হয়েছিল। যেহেতু তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, তাই আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ইতোমধ্যেই কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’
কেকে/ এমএস