সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫,
১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম: প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই       শাহজাদপুরে হোটেলে আগুন, ৪ মরদেহ উদ্ধার       কাঠগড়ায় কাঁদতে কাঁদতে কামাল মজুমদার বললেন, আর আ.লীগ করব না       রাজশাহীতে অ্যাম্বুলেন্স-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩      জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল      অনিয়ম অবহেলায় চলছে সদর হাসপাতাল      নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৮      
গ্রামবাংলা
দুই উপজেলার মেলবন্ধন এক বাঁশের সাঁকো
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: রোববার, ২ মার্চ, ২০২৫, ৭:১৪ পিএম  (ভিজিটর : ৩৬৫)
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীর ওপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা দুই উপজেলার ১৭ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকায় পারাপার করতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো এলাকাবাসীর। তবে গত ৪-৫ বছর ধরে এই বাঁশের সাঁকো নির্মিত হওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে হলেও দ্রুত নদী পারাপার করতে পারছে তারা।

সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিতাস নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মিত হলে বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। বিশেষ করে নবীনগর উপজেলার অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারবে।

উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের চরলোহনিয়া ওয়াই সেতুর নিচ থেকে তিতাস নদীর একটি শাখা কলাকান্দি, পূর্বহাটি, ফরদাবাদ, পিঁপড়িয়াকান্দা, দুবাচাইল, বাজে বিশারা, ভিটিবিশারা, গোকুলনগরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে ইমামনগর পর্যন্ত প্রবাহিত। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকা চলাচল করত। কিন্তু নৌকায় পাড় হতে সময় লাগার পাশাপাশি ঝুঁকিও ছিল অনেক।

অবশেষে এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো ব্যবহার করে দুই উপজেলার মানুষ প্রতিদিন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরসহ ঢাকা, কুমিল্লা, মুরাদনগর ও নবীনগরে যাতায়াত করছে। তবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি এই সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বর্ষাকালে চলাচল আরো কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।

সাঁকোটি ব্যবহার করে নবীনগর উপজেলার রতনপুর, শ্রীকাইল, ভিটিবিশারা, বাজে বিশারা, শাগদা, পেন্নাই, চন্দ্রনাইল, দুবাচাইল, সাহাপুর, সাতমোড়া, মোল্লা ও ভাউচাইল গ্রামের মানুষ কড়িকান্দি ফেরি পাড় হয়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে।

অন্যদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইমামনগর, দরিকান্দি, গোকুলনগর, খাল্লা ও ফরদাবাদ গ্রামের মানুষ নবীনগরসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয়দের মতে, তিতাস নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। এতে নবীনগরের অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা যেতে পারবে। 

এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তাদের দাবি, প্রশাসনের নজরদারি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হবে।

কেকে/এএম





মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ছেলের বায়না মেটাতে নতুন বাইক, এক সপ্তাহ পর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু
আনোয়ারায় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই
শাহজাদপুরে হোটেলে আগুন, ৪ মরদেহ উদ্ধার
ঘুরে ফিরে দুর্নীতিবাজরা গাজীপুর বনে সিন্ডিকেটে জিম্মি ভাওয়াল বন

সর্বাধিক পঠিত

অনিয়ম অবহেলায় চলছে সদর হাসপাতাল
রমজান উপলক্ষে লোহাগাড়ায় ১২ জন আনসার সদস্য নিয়োগ
দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে সৌদি প্রবাসী পারভেজের উপহার
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এনসিপি, অভিজ্ঞতা-জনসম্পৃক্ততায় পিছিয়ে
গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝