রমজানে লোডশেডিং না দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চার কার্গো এলএনজি আমদানির করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর সার্কিট হাউস জামে মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ও লোডশেডিং না দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চার কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, রমজান মাসে কোনো লোডশেডিং হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের যে গ্যাস ছিল সেই গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছি। এবারের রোজা কিছুটা গরমের মধ্যে পড়ছে। এ সময় আমাদের সেচের জন্য অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট। সেচ ও গরমের কারণে এই বিদ্যুতের চাহিদা গরমে ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট হয়ে যায়। এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট লাগে আমাদের সেচকাজে। কিন্তু সেচ বন্ধ করা যাবে না। সেচ বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বাসাবাড়িতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অপচয় না করার অনুরাধ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শপিং মলের যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা হয়। জুয়েলারি শপেও যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা হয়। এ জন্য আমি এবং আমার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সহকর্মীরা সবার কাছে যাচ্ছি।
বিদ্যুৎ চুরির বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু যে বিদ্যুৎ চুরি হয় তা নয়, গ্যাসও চুরি হয়। সে জন্য আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিদ্যুৎ চুরির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষ অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম