নির্বাচন যত দেরি হবে দেশ তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে নির্বাচিত ‘কর আইনজীবী’ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শহিদ জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানান খসরু।
আমির খসরু বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জবাবদিহি সরকার হবে, জনগণ সেই অপেক্ষায় আছে। এই জন্য নির্বাচনের দ্রুততার সম্বন্ধে জনগণের মনে একই প্রশ্ন জাগছে, এটা যত দেরি হবে দেশ তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ চাওয়া নিয়ে কী ভাবছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছি দেশে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। যে রাজনীতিতে সকলের সমান অধিকার থাকবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার, রাজনৈতিক দল গঠন করার, তাদের নিজস্ব মতামত, বক্তব্য, দর্শন, চিন্তা জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্য। এই অধিকার সকলের থাকবে। সুতরাং নতুন যে দলটি হয়েছে, তারা তাদের কথা তুলে ধরেছে, অন্যান্য দলগুলোও তাদের কথা বলছে। এটাই স্বাভাবিক, এটাই গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, দিনশেষে সবার যা চিন্তা-ভাবনা তা নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে নির্বাচনের জন্য। যারা যে ম্যান্ডেট নিতে চায় জনগণের কাছ থেকে, সেই ম্যান্ডেট নিয়ে পাশ করে সংসদে আসতে হবে। সংসদে সেগুলো পাশ করবে। সবার অধিকার আছে তাদের কথাগুলো বলার। কিন্তু সেটা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এনে পাশ করতে হবে। যায় ভাবছেন তাতে অসুবিধা নেই, কিন্তু ম্যান্ডেট নিতে হবে জনগণের কাছ থেকে।
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব কি না জানতে চাইলে খসরু বলেন, ‘নির্বাচন তো জুন মাসের মধ্যে সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সন্দেহ কেউ প্রকাশ করছে না। এটা সরকারকে বলতে হবে। সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ ছাড়াও দেশের বাইরে এবং দেশের মধ্যে যারা স্টেকহোল্ডার আছে, যারা সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছে, কারণ তাদের সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে হলে তাদের সাময়িক, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে।’
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানসহ নবনির্বাচিত ‘কর আইনজীবী’ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এএম