দেড় দশক আগে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায়
তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও
প্রকাশক মাহমুদুর রহমান।
সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের আপিল মঞ্জুর করে এ রায়
দেওয়া হয়। আদালতে মাহমুদুর রহমানের আপিলের পক্ষে শুনানি করেন পারভেজ
হোসেন।
১০ বছর আগে এ মামলায় বিচারিক আদালত মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
রায়ের পর আইনজীবী পারভেজ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৫ সালে বিচারিক আদালত যখন এই মামলার রায় দেন, তখন মাহমুদুর রহমান জেলে ছিলেন। তিন বছরের সাজা খাটা হয়ে গেছে। তারপরও তিনি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন নিয়েছিলেন। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায়টি বাতিল করে রায় দিলেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, সম্পদের কোনো তথ্য গোপন না করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছিল।’
এই আইনজীবী জানান, বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয় দুদক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হিসাব না দেওয়ায় ওই বছর ১৩ জুন গুলশান থানায় এ মামলা করা হয়।
২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন আইনের ২৬/১ ধারায় এ মামলায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। পরে এই অভিযোগ গঠনের আদেশ হাইকোর্টে চালেঞ্জ করেছিলেন মাহমুদুর রহমান। ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. আবু আহমেদ জমাদার (পরবর্তীতে হাইকোর্টের বিচারপতি হন। ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান) মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মাহমুদুর রহমান; যা মঞ্জুর করে মামলার দায় থেকে খালাস দিলেন উচ্চ আদালত।
কেকে/এএম