হবিগঞ্জের বাহুবলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মিরপুর বিট পুলিশিং সভায় বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান আগামী ২০ মার্চের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নতি দৃশ্যমান হবে ।
সোমবার (৩ মার্চ ) দুপুর ৩ ঘটিকায় উপজেলার ৬ নং মিরপুর ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত থানা পুলিশের ৬নং বিটের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত।
বিট অফিসার এসআই মোকসেদ পিপিএম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম, এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (বাহুবল - নবীগঞ্জ )সার্কেল মোঃ জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে (ওসি) জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, পুলিশিং কার্যক্রমকে আধুনিক করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সেই লক্ষে পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ‘বিট পুলিশিং’ কার্যক্রম গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এলাকার আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন, চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই ও মাদক প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মাদক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চোর, ডাকাতসহ প্রকৃত অপরাধীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করা ও গুজব ছড়ানো থেকে সবাই বিরত থাকবেন। গত ৫ মাসে এই থানা এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন করেছি। যার সুফল আপনারা ভোগ করছেন। সব ধরণের পুলিশি সেবা এখন আপনাদের দারগোড়ায়। নিরাপদ বাহুবল উপজেলা গড়ে তুলতে আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। এখন শুধু প্রয়োজন আপনাদের সচেতনতা এবং স্বতফূর্ত অংশগ্রহণ। মানুষের যে কোন সমস্যায় বিট পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। পুলিশ এবং আপনারা হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে একটি রোল মডেল বাহুবল মডেল থানা গড়ে তোলা সম্ভব। বর্তমান সরকার ও পুলিশের আইজিপি পুলিশ-জনগণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে এবং পুলিশি সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় পৌঁছিয়ে দিতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করেছে। আমার থানা পুলিশ আপনাদেরকে যেকোন ধরণের সেবা দিতে সদা প্রস্তুত আছে। আপনারা আসুন এবং সেবা নিন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শামীম মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামসু মিয়া, মিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোতাব্বির মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি লুৎফর রহমান চৌধুরী সুমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আব্দুল আওয়াল, নুরুন্নবী ফয়সল সহ স্থানীয় এলাকার সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক সহ সনাতন ধর্মালম্বীর পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যগণ।
কেকে/ এমএস