বিগত শাসনামলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আশির্বাদপুষ্টরা। বিশেষ করে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, ই-ক্যাব এবং রিহ্যাবের মত সংগঠনগুলোতে এরকমটা দেখা গেছে। তবে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বেশিরভাগ সংগঠনের নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন (রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) রিহ্যাবে এখনো বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছেন স্বৈরাচারের মদদপুষ্টরা।
নতুন নেতৃত্ব না আসায় ব্যবসায় ও শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে সংগঠনটি। ফলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কমিটিকে সরিয়ে সংগঠনটিতে প্রশাসক নিয়োগের দাবি তুলেছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে নতুন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিও করেছেন তারা। এ লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী সাধারণ আবাসন ব্যবসায়ীÑব্যানারে বাণিজ্য উপদেষ্টার দফতরে একটি লিখিত দাবিনামা পেশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বেশিরভাগ সংগঠনের নেতৃত্ব ছেড়েছেন আওয়ামীপন্থিরা। শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের কেউ আত্মগোপনে, কেউবা পালিয়ে গেছেন বিদেশে এবং কয়েকজন ব্যবসায়ী এখনো জনসমক্ষে কথা বলছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী মদদপুষ্ট রিহ্যাবের নেতৃত্বে থাকা আবাসন ব্যবসায়ীরা রঙ বদলিয়ে নানা কৌশলে বহাল থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা এখন জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টাও করে যাচ্ছেন।
প্রায় একযুগ পর ২০২৪ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই নির্বাচনে তৎকালীন বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর দৌড়ঝাঁপ পত্রপত্রিকায় সবিস্তরে ছাপা হয়। আরো কথিত আছে, শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও উক্ত নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেন। পতিত আওয়ামী সরকারের দোসররা আওয়ামীবিরোধী কোনো শক্তি বা ব্যক্তিকে ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ বা পরিবেশ দেয়নি।
রিহ্যাবের একাধিক সদস্য জানান, জিডিপিতে আবাসন খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ এর সাথে সম্পৃক্ত ২৩৮টি লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই খাত বড় ভূমিকা রাখে। বিগত আওয়ামী সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে এই খাতে গভীর সমস্যা সৃষ্টি হয়। নতুন করে দেশ গড়ার এই ক্রান্তিলগ্নে স্বৈরাচারের দোসর এবং অযোগ্য নেতৃত্বে রিহ্যাবকে কুক্ষিগত করে রাখলে আবাসন খাত আরো গভীর সমস্যায় নিমজ্জিত হবে।
রিহ্যাবের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে অনতিবিলম্বে প্রশাসক নিয়োগ করে সংস্কার ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেন বৈষম্যবিরোধী সাধারণ আবাসন ব্যবসায়ীরা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রিহ্যাবের বর্তমান সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান আওয়ামী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি অবৈধ ইন্টারনেট/ভিওআইপি ব্যবসার কারণে র্যাব কর্তৃক ধৃত হন এবং নসরুল হামিদের প্রত্যক্ষ প্রভাবে ছাড়া পান।
এ বিষয়ে মন্তব্য নিতে ওয়াহিদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। রিহ্যাবের অফিসে গিয়েও তার দেখা মেলেনি।
চিঠিতে আরো বলা হয়, রিহ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি লিয়াকত আলি ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এবং সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন। লিয়াকত আলি ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সর্বশেষ তালিকাতে (২০২৩-২০২৫) এর ৩৩নং সদস্য। এর আগে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটি (২০১৯-২০২১) এর ৩৩ নং সদস্য ১৮ নং সদস্য। তিনি ধানমন্ডি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্বরত ছিলেন বলে নিজেই প্রচার করতেন।
লিয়াকত আলি ভূঁইয়ার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার দাপট দেখাতেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পরিচালক পদে (২০১৪-২০১৫) আসীন ছিলেন। তিনি নিজেকে শেখ কামালের বন্ধু বলেও পরিচয় দিতেন। দেশ যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কম্পিত তখনও লিয়াকত আলি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সাথে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে যোগ দিয়ে স্বৈরাচারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে জনমত গড়ে তোলেন।
এত বছর ধরে তিনি আওয়ামী লীগের একাধিক পদে আসীন থেকে স্বৈরাচার সরকারের সুযোগ সুবিধা নিয়ে এখন তিনি দাবি করছেন বাকশাল আমলের মতো তাকে আওয়ামী লীগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। গত স্বৈরাচারী সরকারে সুবিধাভোগী এবং এই বৈষম্যহীন সরকার ব্যবস্থাতেও সুবিধা নিতে তিনি ব্যাপক তৎপর!
খিলগাঁও থানায় মো. রনি খাঁন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পেনাল কোডে রুজু করেছে। মামলায় অন্যান্য আসামির সঙ্গে রিহ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতিরও নাম রয়েছে। মামলার বর্ণনায় বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিকাল ৫টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাকে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারবিরোী ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনে যোগ দিয়ে খিলগাঁও মেরাদিয়া পিবিআই অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করাকালে আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামালের নির্দেশে আসামি খিলগাঁও ২নং ওয়ার্ডের কমিশনার আনিসুর রহমান সরকার, ৫৯ নং আসামি লিয়াকত আলী ভূইয়াসহ অন্যদের পরিকল্পনা ও অর্থ যোগান দিয়ে তাদের মদদে পুলিশ, র্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের অস্ত্রধারীরা অবৈধভাবে একতাবদ্ধ হয়ে লোহার রড, হকিস্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশি অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তাকেসহ সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বোমাসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও বোমাবর্ষণ করেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অন্য একটি মামলার আবেদনেও রিহ্যাবের বর্তমান কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ৩নং সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফসহ আবাসন খাতের কয়েকজনের নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে রিহ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি লিয়াকত আলি ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রায় একযুগ পর আবাসন খাত ব্যবসায়ীদের একমাত্র সংগঠন রিহ্যাবের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একটি মহল প্রায় এক যুগের বেশি সময় নানা অনিয়মের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে রিহ্যাবের সাধারণ সদস্যরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে রিহ্যাবে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে প্রশাসকের অধীনে ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রিহ্যাব সদস্যদের সরাসরি ভোটে ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। তবে সরকার পরিবর্তনের পর পরাজিত শক্তিরা বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
চিঠিতে রিহ্যাব কমিটির অন্য সদস্যদের বিষয়ে বলা হয়, লায়ন এম. এ. আউয়াল রিহ্যাবের সহ-সভাপতি-১ তিনি লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকে সংসদ সংসদ সদস্য হন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দীন নামে পল্লবীর এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে পুত্রের সামনে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তাকে ২০২১ সালের ২০ মে র্যাব নরসিংদীর ভৈরবের একটি মাজার থেকে গ্রেফতার করে।
আওয়ামী সরকারের দোসর এই আউয়াল বর্তমানে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে তার কর্মকাণ্ড জনমনে রোষ সৃষ্টি করেছে। স্বৈরাচারকে খুশি করতে তিনি জামায়াতে ইসলামির নিবন্ধন বাতিলের মামলা করেছিলেন।
রিহ্যাবের আরেক সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সক্রিয় আওয়ামী লীগার। দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যুৎ সেক্টরে নসরুল হামিদের সাথে মিলেমিশে টেন্ডার অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন। তিনি তার এলাকায় আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ডোনার ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ নির্বাচনে তার এলাকার সংসদ সদস্যের জন্য বিশাল ডোনেট করেন বলে কথিত আছে। নির্বাচনের পর খুশি হয়ে স্বয়ং সংসদ সদস্য ফুল নিয়ে আসেন তার অফিসে।
ইস্তেখাবুল হামিদ রিহ্যাবের পরিচালক। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের আপন ভাই। কথিত আছে, ইস্তেখাবুল হামিদ সভাপতি হলে নসরুল হামিদের সংসদ সদস্য পদের দাবিদার হতে পারেন তার ভাই, সেই ভয় থেকে তাকে সভাপতি বানান নাই তার নসরুল হামিদ। তবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে দুর্নীতিতে ইন্তেখাবুলও জড়িত বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে।
রিহ্যাবের পরিচালক আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। বিগত সংসদ নির্বাচনে তিনি চন্দনাইশ থেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশন প্রার্থনা করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে তার কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের হয়।
আরেক পরিচালক হাজি দেলোয়ার হোসেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে তার কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের হয়।
পরিচালক প্রকৌশলী মহসিন মিয়া আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ী এবং সাবেক ডুয়েট ছাত্রলীগ নেতা। পরিচালক কামরুল ইসলাম আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।
পরিচালক মেরাজ মুক্তাদির আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। বর্তমানে রঙ বদলিয়ে বিএনপির রঙ ধরেছেন।
পরিচালক সুরষ সরদার আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। বর্তমানে জামায়াতের রঙ ধরেছেন।
রিহ্যাবের আরেক পরিচালক শেখ কামাল। তিনি শেখ মুজিবের ছেলের নামের সাথে নাম মিলিয়ে তার পিতা তার নাম রেখেছে বলে প্রচারণা চালাতেন এবং নিজেকে ডেডিকেটেড আওয়ামী লীগার বলে পরিচয় দিতেন। এছাড়া অন্যান্য পরিচালকরাও আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, ‘রিহ্যাবের একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এ বিষয়ে যারা চিঠি দিয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/এআর