খুলনার ডুমুরিয়ায় মা ইলিশ সংরক্ষণ উপলক্ষে উপজেলার গোনালী আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রামে সমিতি আয়োজনে ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ডুমুরিয়া আইতলা কালি মন্দির চত্তরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ আলোচনা সভায় ডুমুরিয়া উপজেলা ক্লাস্টার অফিসার ওয়াকিবুন্নেছার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান রিগান।
এসময় বক্তারা বলেন, ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষ্যে ‘মা ইলিশ’ রক্ষার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় ইলিশের প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ মোতাবেক ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ইলিশের আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ বন্ধ থাকে।
এই ২২ দিনে কেউ ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় করলে দন্ডনীয় অপরাধ বিবেচিত হয়ে থাকে।
আর এই আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
আলোচনা সভা শেষে, জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি র্যালি বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, এসডিএফ খুলনা অঞ্চলের কো-ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট এবিএম শামসুদ্দিন, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা অসিত কুমার সরকার, প্রনব কুমার দাস, ডুমুরিয়া সিএফএসডিএফ আকরাম হোসেন সালেহ প্রমুখ।
কেকে/এজে