জিগ-জ্যাগ
ইট ভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ আইন)
২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত
জিক-জ্যাক ইটভাটার ছাড়পত্র ও প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য ইট
প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার
বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ১১
টায় উপজেলা চত্বরে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি মাগুরা জেলার
শালিখা উপজেলা শাখার আয়োজনে ইট ভাটা মালিক সমিতি ও শ্রমিকেরা জিক-জ্যাক ইট
ভাটার ছাড়পত্র, লাইসেন্স প্রাপ্তি নিরসনের জন্য এবং ইট ভাটা চালু রাখার
দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন
শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বনি আমিন এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধান
উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে
ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইটভাটা বন্ধ হলে আমাদের সংসার
চলবে কি করে আমাদের সংসার ছেলেমেয়ে লেখাপড়ার খরচ চালানো সবইতো ইটভাটার
কর্মের উপর,ভাটা বন্ধ হলে আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে। আমরা মাননীয় প্রধান
উপদেষ্টার নিকট আবেদন জানাচ্ছি ইটভাটা চালু রাখার জন্য।
শালিখা
উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদ আলম বলেন, মাগুরা জেলায়
৭৮ টি ব্রিক ফিল্ড আছে তার মধ্যে ৪টির বৈধ কাগজপত্র আছে। বিগত দিনের
স্বৈরশাসকের নির্যাতন মূলক আইন ও নির্যাতন মূলক ধারার মাধ্যমে ২০১৮ সালে
কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আমাদের কাগজপত্র নবায়ন হয়নি। আমাদের ইটভাটা বন্ধ
হলে ভাটা সংশ্লিষ্ট দুই হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ হবে, সাথে সাথে
সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, রড ফ্যাক্টরি, বিভিন্ন হার্ডওয়ার ফ্যাক্টরি, বিভিন্ন
রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে স্থবিরতা আসবে।
উপজেলা ইট ভাটা মালিকের পক্ষ
থেকে ভাটা চালুর জোর দাবি জানিয়ে মাসুদ আলম বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট সময়
বেঁধে দিয়ে ইট পোড়াতে দেয়া হোক। পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে পরিবেশ
ছাড়পত্র দিয়ে আমাদেরকে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কর্ম সংস্থানের সাথে
আমাদেরকে অবদান রাখার সুযোগ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি করছি।
কেকে/ এমএস