কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়ীতে এবার দোল উৎসব একদিনেই শেষ হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর ফাগুনের শেষ দিকে লালনের আখড়াবাড়ীতে দোল পূর্ণিমা বা স্মরণোৎসব উদযাপন হয়। পবিত্র মাহে রমজানের কারণে এবারের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা থাকছে না।
বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেই কর্তৃপক্ষ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভপতি মো. তৌফিকুর রহমান। এর আগে স্মরণোৎসবে শুধুমাত্র মূল আচার অনুষ্ঠান রাখার দাবি তোলেন বাউল ভক্তরা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাউল ফিরোজ সাঁই, রাজ্জাক সাঁই,শফি সাঁই, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, নাগরিক প্রতিনিধি আলমাস হোসেন মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বলা হয় লালন একাডেমির পক্ষ থেকে আগামী ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় এবং রাতে বাউল ভক্ত ফকিরদের বাল্য সেবা প্রদান করা হবে। তবে পরের দিন ১৪ মার্চ দুপুরে খেলাফতধারী বাউল ফকিরা নিজস্ব উদ্যোগে পূর্ণসেবা গ্রহণ করবেন।
এ সময় অাখড়াবাড়িতে গাঁজা সেবন ও বিক্রি বন্ধ নিয়ে নাগরিক প্রতিনিধি আলমাস হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন,স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে যদি কোনো ব্যক্তি সেখানে মাদক সেবন বা বিক্রি করে তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, বাউল সম্রাট লালন ফকির তাঁর জীবদ্দশায় প্রতিবছর ভক্ত ও অনুসারীদের নিয়ে দোল পূর্ণিমা তিথিতে লালন মাজারে স্মরণোৎসব পালন করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দোল পূর্ণিমায় লালন ভক্ত অনুসারী ও বাউলরা অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. আব্দুল ওয়াদুদ, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএস