বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫,
২২ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম: ভারতের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া      যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের যুদ্ধ ঘোষণা      রাজধানীর ভাষানটেক বিআরপি বস্তিতে আগুন      হাসিনাকে রাজনীতিতে ফেরানোর ক্ষমতা ভারতের নেই      অর্থ পাচারের মামলায় খালাস তারেক রহমান-মামুন      প্রজাতন্ত্রকে শাসন করছে প্রশাসনের ক্যাডাররা      আ.লীগ ট্যাগে বাড়ছে মব      
প্রিয় ক্যাম্পাস
বাউ হাঁস ভাগ্য বদল, ৩ মাসেই ওজন ২.৫ কেজি
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৭ পিএম  (ভিজিটর : ৫৩)
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চয়রা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ঝর্ণা খাতুন। এক সময় ক্ষুধার তাড়নায় মানুষের দ্বারে দ্বারে কাজের সন্ধান করতেন। বর্তমানে তার মাংস ও ডিম উৎপাদনশীল বাউ-ডাক জাতের হাঁস পালন করে ভাগ্য বদলে গেছে। শুরুর দিকে তিনি স্থানীয় অলাভজনক সংস্থার সহায়তায় ৫০টি বাউ-ডাক হাঁস দিয়ে খামার শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে তা বড় করেন। এখন তার খামারেই কাজ করছে কয়েকজন শ্রমিক।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল আলম ভূঁঞা নতুন এই বাউ-ডাক হাঁসের জাতটি উদ্ভাবন করেছেন, যা তরুণ উদ্যোক্তাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। দেশি ও বিদেশি হাঁসের সংকরায়নের মাধ্যমে এই হাঁস তৈরি করা হয়েছে। যা দেশের আবহাওয়ার জন্য উপযোগী এবং রোগবালাইয়ের প্রতি বেশ সহনশীল।

এই হাঁস মাত্র ৩ মাস বয়সে স্ত্রী ও পুরুষ হাঁস ভেদে ২ থেকে ২.৫ কেজি ওজনের হয় এবং বছরে ২২০ থেকে ২৩০টি ডিম দেয়। যেখানে দেশি হাঁস ৭০ থেকে ৮০টি ডিম দেয়। দ্রুত মাংস উৎপাদন ক্ষমতা, কম মৃত্যুহার এবং বাজারে ভালো দামের কারণে এটি খামারিদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ওই উপজেলার বাঙ্গালা গ্রামের আরেক খামারি শাহিনুর। তিনি দীর্ঘ সময় বেকার থাকার পর স্থানীয় আ‌রেক ঋণদাতা সংস্থার সহযোগিতায় ১০০টি বাউ হাঁস পালন শুরু করেন। হাঁসের উচ্চ বৃদ্ধির হার এবং মৃত্যুহার কম হওয়ায় পালন করে আজ স্বাবলম্বী।

শুধুমাত্র ঝর্ণা এবং শাহিনুরই নয়, সিরাজগঞ্জের প্রায় শতাধিক খামারি বাউ-ডাক হাঁস পালন করে লাভবান হয়েছেন। বিশেষ করে উল্লাপাড়ার চয়রা গ্রামে ইতোমধ্যে ২০টিরও বেশি বাউ হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে।

উল্লাপাড়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ এম এ ম‌তিন জানান, বাকৃবির উদ্ভাবিত নতুন জাতের বাউ-ডাক  হাঁস অধিক মাংস ও ডিম উৎপাদনশীল এবং রোগপ্রতিরোধী। খামারিরা যাতে আরও লাভবান হতে পারেন, সেই জন্য জৈব নিরাপত্তা, নিয়মিত টিকা প্রদানসহ বিশদ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, হাঁসটি প্রান্তিক খামারিদের মাঝে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আশা করি, এই জাতের হাঁস দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কেকে/এএম
 

মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

১৯২৭ সাল থেকে ২৪ ঘণ্টা কোরআন তেলাওয়াত হচ্ছে যে মসজিদে
তিস্তা সেচ প্রকল্পে সুবিধা পাচ্ছেন এক লাখ কৃষক
৩শ ফিট সড়কে অবৈধ সিএনজি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
ভারতের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া
কক্সবাজার শহরে অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

সর্বাধিক পঠিত

‘তোমাদের সাথে হাশরের ময়দানে দেখা হবে’ স্ট্যাটাসে যুবকের আত্মহত্যা
নীলফামারীর সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার গ্রেফতার
কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত
মতলব উত্তরে ১৩ মামলার আসামি বেজী সুজন আটক
সোনাগাজীতে জিয়া সাইবার ফোর্সের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার মাহফিল

প্রিয় ক্যাম্পাস- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close