চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটে গেল পাঁচ দিনে যুবদলের ৩ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সর্বশেষ বহিষ্কার করা হয় সিলেট জেলা যুবদলের সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কাওছার আহমদ জুম্মানকে। যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে তাকে বহিস্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। জুম্মান এর বিরুদ্ধে সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় এলাকায় একটি বাসায় চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে যুবদলের ৩ নেতাকে বহিস্কার করা হলো।
এতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে সিলেট জেলা যুবদলের সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কাওছার আহমদ জুম্মানকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবেনা। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে, সিলেটে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক হন সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন আহমেদ। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। রোববার (২ মার্চ) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তারাও আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট নগরীর বনকলাপাড়া এলাকার নূরানী ৫২ নম্বর বাসায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ইমাদ উদ্দিন আহমেদকে আটক করে। এ সময় ইমাদের আরও তিন সহযোগীকে আটক করা হয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আরেক যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত মহানগর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব চৌধুরী মাধবের বিরুদ্ধে হকারদের কাছে চাঁদা দাবি ও চাঁদা না দেয়ায় হকারকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর জিন্দাবাজারে সড়ক অবরোধ করেন হকাররা। চাঁদা না দেয়ায় হকারকে উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে তাদের মুক্তি ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা। ওইদিন রাত ১২টার দিক যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধবকে বহিস্কার করা হয়। মাধব বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
কেকে/এআর