নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে ব্যবসা নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে করে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ দু’পক্ষের অন্তত দশ থেকে পনেরো জন আহত হয় বলে জানা গেছে। এঘটনায় আটটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙ্গচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোহন, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ, মাহবুব, সবুজ, শহীদের নাম পাওয়া গেলেও বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর এবং নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন গ্রুপের মধ্যে গত কয়েকদিন যাবৎ আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নাম একটি পোশাক ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে মনির গ্রুপের সোহাগ নামে একজনকে মারধর করে সাগর গ্রুপের লোকজন। এর সূত্র ধরে বিকেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
মনির হোসেন গ্রুপের সদস্য বিএনপি কর্মি রুহুল আমিন জানান, সাগর ও তার লোকজন আদমজী ইপিজেডে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তাকে ছাড়া অন্য কেউ ইপিজেডে ব্যবসা করতে গেলে গ্রুপের লোকজন বিকেল চারটায় অতর্কিত হামলা চালায় তাদের ওপর। এসময় সাগরের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে আমার মার্কেটে। এছাড়া আমার মার্কেটের দোকানের সাটারগুলো কুপিয়ে নষ্ট করে। এসময় আটটি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে এবং আরো ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এদিকে মারামারির খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে আহত করে সংঘর্ষকারীরা।
এদিকে হামলার এই ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর আলম জানান, ‘আদমজী ইপিজেডের ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহীনি গিয়েছিলো। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। উভয় পক্ষের কেউই এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।’
কেকে/ এমএস