রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলে আসন বণ্টনে অনিয়ম, পানি সংকট, ইন্টারনেট সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৯টা থেকে তাঁরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে রাত ১১ টার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
এ সময় তারা 'আবাসিকতার অনিয়ম, মানি না মানব না', 'সিনিয়র রেখে জুনিয়র, মানি না মানব না', 'প্রশাসন জবাব চাই, জবাব চাই' প্রভৃতি স্লোগান দেয়।
আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবাসিকতার নীতিমালায় সংকট, হলের সংকট, হলগুলোতে পানির সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া, ক্যান্টিনে পূর্ব নোটিশ ছাড়ায় সেহেরির মিল বন্ধ হওয়া, ইন্টারনেটের ধীরগতি, হলের সমস্যা সমাধানের জন্য হল প্রাধ্যক্ষের সাথে বসতে চেয়েও প্রাধ্যক্ষকে না পাওয়া প্রভৃতি সমস্যা সমাধানের জন্য এ আন্দোলন করেছেন তারা।
রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নিশা আক্তার বলেন, 'আগের নিয়ম অনুযায়ী হলের গণরুমে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সিনিয়রদের একাডেমিক ফলাফলের ভিত্তিতে হলের কক্ষ দেওয়া হত। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী সকল সেশনের শিক্ষার্থীদের ফলাফল তুলনা করা হয়। এতে অনেক সিনিয়র সিট না পেলেও জুনিয়ররা কক্ষ পেয়ে যাচ্ছে এটা এক প্রকারের বৈষম্য। আমরা এর সমাধান চাই।'
এ সময় তাদের সাথে আলোচনা করতে উপস্থিত হয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ ও প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান। তবে, তাদের সাথে আলোচনা চালিয়ে গেলেও সমাধানে পৌছানো যায়নি। পরে তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ফটকে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় তারা।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই হলের সিট বন্টনের নীতিমালা তৈরি হয়েছিল। এখন শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সেশন ভিত্তিতে সিট বন্টন করার নিয়ম গৃহীত করা হবে।'
কেকে/এআর