রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫,
২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম: গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬      অস্বস্তি নিয়েই বসবাস      বৈষম্যবিরোধীর নামে অপরাধ      যুদ্ধবিরতির তৎপরতার মধ্যে ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার, নিহত ২৫      সিরিয়ায় আসাদপন্থির ৩৪০ সদস্য নিহত      বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং      আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিন মানুষ মা, স্ত্রী ও কন্যা: তারেক রহমান      
গ্রামবাংলা
জুতার সূত্র ধরে হত্যা মালমার খুনি শনাক্ত, আটক ২
কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ২:০৮ পিএম  (ভিজিটর : ৫৬)
ছবি: শাহাদৎ হোসেন ও মো. নাঈম মিয়া

ছবি: শাহাদৎ হোসেন ও মো. নাঈম মিয়া

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে উবায়দুল হক পাইলট নামে এক ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যাকান্ডের আলোচিত ঘটনার দুই সপ্তাহের মধ্যে জুতার সূত্র ধরে ক্লুলেস মামলায় জড়িত শাহাদৎ হোসেন (৩২) ও মো. নাঈম মিয়া (২৪) নামে ২ খুনিকে গ্রেফতার করে প্রশংসায় ভাসছেন ওসি মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম। 

হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া স্যান্ডেলের সূত্র ধরে, শাহাদৎকে খুনি হিসেবে শনাক্ত করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে ওসি মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) খোকন চন্দ্র সরকার, থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শুভ আহমেদ ও এসআই আমিরুল বাহার সহ এক দল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে শাহাদাৎ হোসেনকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পরদিন ১ মার্চ শনিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় শাহাদাৎ হোসেন।

গ্রেফতারকৃত শাহাদাৎ হোসেন (৩২) কুলিয়ারচর উপজেলার বাজরা মাছিমপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রী। জবানবন্দিতে তার সাথে জড়িত থাকা আরো তিন জনের নাম বলেন।

গত ৫ মার্চ আবারও ওসি মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) খোকন চন্দ্র সরকার, থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শুভ আহমেদ ও এসআই আমিরুল বাহার সহ এক দল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার তিন জনের মধ্যে মো. নাঈম মিয়া (২৪) কে গ্রেফতার করে। পরদিন ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মো. নাঈম মিয়া বলেন ব্যবসায়ী উবায়দুল হক পাইলটকে জবাই করে হত্যার করার সময় তার উরাতে ও কোমরে চাপ দিয়ে ধরে রাখে সে। ঘটনার সাথে তারা ৬জন ছিলো বলে জানায়। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য করে ব্যবসায়ী উবায়দুল হক পাইলটের গতিরোধ করার পর তাকে খুন করা হয়। মো. নাঈম মিয়া উপজেলার পশ্চিম তারাকান্দি গ্রামের এমাদ মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ জানান, খুনি নাঈম মিয়া একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তার নামে তিনটি ডাকাতি প্রস্তুতি, একটি চুরি সহ ৫টি মামলা রয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা হয়েছে। তাকে গত ৫মার্চ রাতে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

কুলিয়ারচর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, মরদেহের নিচে খুনিদের কেউ তার ডান পায়ের একটি জুতা ফেলে যায়। ওই জুতাটিকে কেন্দ্র করেই খুনি চিহ্নিত করার তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাজরা বাসস্ট্যান্ড ও কয়েকটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজগুলো বার বার দেখে পথচারীদের পায়ে ব্যবহৃত জুতার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সময় ফেলে যাওয়া জুতার সাদৃশ্য বের করা হয়। 

একপর্যায়ে ওই জুতা ব্যবহারকারী হিসেবে শাহাদাৎকে চিহ্নিত করে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এ ঘটনায় আরো তিনজন জড়িত ছিলো বলে সে জানান। শাহাদাৎ হোসেনের তথ্য মতে মো. নাঈম মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, হত্যা মামলাটি সম্পূর্ণ একটি ক্লুলেস ঘটনা। ঘটনার পর বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা মামলার প্রধান আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে তার তথ্য মতে আসামি মো. নাঈম মিয়াকে গ্রেফতার করি। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ওবায়দুল হক পাইলট প্রতিদিনের মত দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলো। বাড়ির কাছাকাছি পশ্চিম তারাকান্দি এলাকায় গেলে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন গত ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নিহতের মা মোছা. আঙ্গুরা বেগম বাদি হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০, নিহত পাইলট বাজরা মাছিমপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে।

এর আগে গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি সোম ও মঙ্গলবার কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় ও নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চিরনি অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ হিসেবে আওয়ামী লীগের- ৩, ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায়- ১ ও ওয়ারেন্টভূক্ত ১৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলায় রেকর্ড অর্জন করে ওসি মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম।

একের পর এক ওসি হেলাল উদ্দিনের সাফল্যের প্রসংসা করেন কুলিয়ারচর উপজেলাবাসী।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮: একে একে ৩ জনের মৃত্যু
গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬
শ্রীপুরে দুই শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আটক ২
অস্বস্তি নিয়েই বসবাস
বৈষম্যবিরোধীর নামে অপরাধ

সর্বাধিক পঠিত

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রূপগঞ্জে অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ২ যুবক গ্রেফতার
শ্রীমঙ্গলে ভেজাল গুঁড়া মসলার ছড়াছড়ি
নারী শক্তির জাগরণ
শ্রীমঙ্গলে অবৈধ দুটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close