জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে পুরান ঢাকার তাতীবাজার অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার সময় রাজধানীর তাতীবাজার অবরোধ করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ডাক দেন।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এসয়ময় শিক্ষার্থীরা- এই মুহুর্তে দরকার, সেনাবাহিনী ঠিকাদার; এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার; সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার; দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন; স্লোগান দেন।
আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধুমাত্র ক্যাম্পাস হচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু কোন কাজের কাজ হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায় সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে কিন্তু শেষ হয় না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কাজের অগ্রগতি থাকে না। সেনাবাহিনীর কাছে এই ক্যাম্পাসের কাজ অতিদ্রুত হস্তান্তর করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিফ মাহমুদ সোহান বলেন, আজকের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রনালয় যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।
এসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জ্যামে আটকা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম। এসময় গাড়ি রেখে তিনি হেটে যান। উপাচার্য বলেন, এটা এমন না যে বললেই কাজটা হয়ে যাবে। এটা দীর্ঘ প্রসেস সময় লাগবে।
কেকে/এজে