বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁও হতে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঠাকুরগাঁও জেলা কল্যাণ সমিতি কর্তৃক নবীন বরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার ২য় তলায় এ আয়োজন করেন সংগঠনটির সদস্যরা। এ সময় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের পাশাপাশি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও ইফতার ও বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ নুর ইসলাম, বিভাগীয় উপকমিশনার আজাদ আল শামস, কার মাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আশরাফুল ইসলাম, ন্যাশনাল ব্যাংকের সহকারী সিনিয়র সভাপতি ও ম্যানেজার মোহাম্মদ সারোয়ার মোরশেদ, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার আবুল কালাম, সংস্থাপন শাখার উপ রেজিস্টার মো. জিয়াউল হক জিয়া, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সায়েদ পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ, বেরোবি আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার আল ইমরান, সেন্ট্রাল এমআরআই হেড আব্দুর রহিম, ছাত্র উপদেষ্টা আল মুরসালীন মুন্না, মো. মুস্তাকিম, মো. রবিউল ইসলাম, মোছা. সাদিয়া আক্তার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমন আলী।
এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুবেল ইসলামসহ সংগঠনের নবীন প্রবীণ ও কার্যনির্বাহী কমিটির শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. নুর ইসলাম বলেন, তোমরা যারা নবীনরা আছ, তারা চলতে-ফিরতে শুরুতে হয়তো নানা সমস্যা ফেস করতে পারো, সবার সহযোগিতার জন্যই এই জেলা ছাত্রকল্যাণ সংগঠনটি। তোমরা সিনিয়র সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করবে। তাদের থেকে শেখার যা আছে তা শিখবে। প্রবীণদের উদ্দেশ্যে বলব তোমরা কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করো এবং সর্বদা জেলা ছাত্রকল্যাণের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জীবনটা আসলেই সংগ্রাম। আমাদের যুদ্ধটা নিজের মধ্যে—আমি কোনটা বেছে নেব? আমরা কেন যেন নোটবুক গাইডবুকের গণ্ডিতে আছি। আমাদের অনেক নোংরা পরিবেশ থেকে পড়াশোনা করে আসা হয়েছে, কিন্তু তোমরা আজ সুন্দর পরিবেশ পেয়েছো। আর প্রবীণদের মনে একটা আফসোস—কী করলাম চার-পাচঁ বছর! এই আফসোস যেন নবীনদের না থাকে সেই পথে হাঁটো। কয়েকটা ইতিবাচক ও নেতিবাচক শত্রুর সাথে ফাইট করা লাগবে। যেমন দ্বৈত আচরণ পরিহার করা, তাহলে মানুষ বুঝে নিবে তোমার একটা স্বতন্ত্র পরিচয় আছে।
কেকে/এএম