পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বৃদ্ধ চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজা ইউনুস আলী (৪২) নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে আহতাবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখানে চিকিৎাধীন তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইউনুস ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মশাসন গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে। যৌথ মালিকানায় থাকা পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় চাচা রুহুল আমিনের লাঠির আঘাতে তিনি আহত হন।
নিহতের ভাই খোকন গাজী জানান, রুহুল আমিন, আদম আলী ও তার পিতা মোহাম্মদ আলীর যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। বিগত দিনে একই বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদও হয়েছে। তবে শুক্রবার বিকালের দিকে তার ভাই উক্ত পুকুর থেকে মাছ ধরতে গেলে চাচা রুহুল আমিন বাধা দেয়। একপর্যায়ে বাদানুবাদের মধ্যে তার চাচা ইউনুসের মাথা ও ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে। অ্যাম্বুলেন্সযোগে সাতক্ষীরা পৌঁছানোর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্তরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। নিহতের লাশ ময়নাতন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/এএম