কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের মেছগাও গ্রামে এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা সালিশে আপসরফার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২ মার্চ) বিকালে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের বাড়িতে সালিশের কথা থাকলেও কোনো প্রকার বিচার করেননি ঐ ইউপি সদস্য। সেখানকার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে অর্থের বিনিময়ে আপসের চাপ দেওয়া হয় ভুক্তভোগীর স্বজনকে। যদিও শিশুটির পরিবার তা মানতে রাজি হয়নি।
সেদিনই মেয়েটির পরিবার মামলা করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার ১৫ দিনেও পুলিশের কোনো কার্যক্রম চোখে পরেনি, আসামি মো.সুরুজ মিয়া এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের মেছগাঁও, মুড়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলে থাকাকালীন গরুর ঘাস কাটার জন্য তার সহপাঠীদের নিয়ে বাড়ির পাশে একটি খোলা মাঠে যায় মেয়েটি। পরে সেখানে থাকা একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে প্রতিবেশী ও দূর সম্পর্কের আত্মীয় সুরুজ মিয়া (৫০) ভাল ঘাস আছে বলে মেয়েটিকে কাছে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় এবং তার সহপাঠীদের বাড়ি থেকে পানি আনতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর ঘটনা গোপন রাখতে মেয়েটিকে ১৫০ টাকার অফারও করে সুরুজ মিয়া। ঘটনা জানাজানির পর থেকে পলাতক ছিলেন সুরুজ মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন। তবে এখন প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন সুরুজ মিয়া ভুক্তভোগী পরিবারকে দিচ্ছেন হুমকি।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা শিশু ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় যারা আপসের চাপ দিয়েছেন, সেই সালিশকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
ইউপি সদস্যের ভাষ্য, গঠনার পরদিন সকালে সুরুজ মিয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। শোনার পরপরই আমি মেয়ের বাড়িতে যাই পরিবারের সাথে কথা বলি এবং সামাজিক ভাবে এটা মীমাংসা করার চেষ্টা করি এবং আমার বাড়িতে সালিশের জন্য স্থান নির্ধারণ করি। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবার তা মানতে রাজি হয়নি পরে তারা আইনের আশ্রয় নেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বলেন, সালিশের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা সালিশের বিষয়ে যদি কেউ আপস করতে চাই তাহলে তারাও বিপদে পড়বে। অভিযোগ তদন্ত দিন রয়েছে তদন্ত করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরো জানান, শিশু ধর্ষণচেষ্টার মামলায় একমাত্র আসামি সুরুজ মিয়াকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে
কেকে/এএম