গণঅভ্যুত্থানের পর সারা দেশে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন, হয়রানি, হিংসা-বিদ্বেষসহ নানা ধরনের নিপীড়নের ঘটনা বেড়ে চলেছে। এতে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নারীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ কেউ কেউ অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনাও করছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সামাজিকভাবে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আট বছরের এক শিশু। একই দিন কুমিল্লার লাকসামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বাক্প্রতিবন্ধী এক তরুণী। এদিকে গত বুধবার রাজধানীতে মেট্রোরেলে এক তারুণী ও শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া শাহবাগ এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব।
ক্রমাগত নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশে নারী নির্যাতনসহ নারীদের হেনস্থার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বিপজ্জনক।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি এবং হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরো উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে। যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, নারী-নির্যাতনসহ দেশের সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করছি এবং একইসঙ্গে সবাইকে সচেতনভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
এ দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা, ইভটিজিং, ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা, ইভটিজিং, ধর্ষণের মতে ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এনসিপির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি জনপরিসরে যেন নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, সেজন্য সরকার যেন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অভিযুক্তদের দ্রুত যেন যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হয়।
ধর্ষণ মামলা এবং নারীদের আইনি সহায়তা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী। সালমা আলীর পর্যবেক্ষণে দেশে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি মারাত্মক উদ্বেগের। তিনি বলেন, আমি মনে করি পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এর জবাবদিহি সরকারকে দিতে হবে। আমরা সাহায্য করতে চাই, সহযোগিতা করতে চাই।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা তাদের রয়েছে। এর অংশ হিসেবে ‘ডেভিল হান্ট অপরেশন’ নামের বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারীদের সমাবেশ
ধর্ষণ, নিপীড়ন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন নারীরা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সংসদ ভবনের সামনে তারা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া এ সমাবেশে অন্তত ২০০ জন নারী অংশ নেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ও নারী অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বক্তব্য সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা ‘আজাদি, আজাদি’ স্লোগান দিয়ে একটি র্যালির মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করেন।
২৪ ঘণ্টা পরও জ্ঞান ফেরেনি ধর্ষণের শিকার শিশুর
মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় শিশুটির দুলাভাই ও তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটির মামাতো ভাই গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখনো সে অচেতন অবস্থায় আছে। তাকে শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবস্থা আরো খারাপ হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হবে।
এদিকে গ্রেফতারদের ফাঁসির দাবিতে জুমার নামাজের পর মিছিল করে সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিক্ষুব্ধ জনতা কে ছত্রভঙ্গ করা হয়।
লালমাইয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
কুমিল্লার লালমাইয়ে বাক্প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণীর খালা বলেন, আমার বোনের মেয়ে শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী। সে সকালে বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর তাকে সড়কের পাশের দুলালের দোকানে নিয়ে চিপস কিনে দেয়। পরে তাকে নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকদের থাকার রুমে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সকাল আটটায় ওই রুমে গিয়ে দেখি, জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া আমার বোনের মেয়েকে ধর্ষণ করছে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, মামলার ১ নম্বর আসামি মো. জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা
রাজধানীর শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে গত বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। হেনস্তার শিকার নারী এ বিষয়ে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন এবং পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রী ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। সেখানে অভিযুক্ত লোকটির ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, এ লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলতেসে আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞেস করি আপনি কোন হলে থাকেন, কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এ ক্যাম্পাসের কেউ না। ওই ছাত্রী আরো লেখেন, তিনি সালোয়ার, কামিজ ও ওড়না পরে ছিলেন। তার পরও তাকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে। এরপর তিনি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি দৌড়ে চলে যান।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্থায় অভিযুক্ত মোস্তফা আসিফ অর্ণবের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিবৃতিতে তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্থাকারী অর্ণবের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার চাকরি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন, তা না হলে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
মেট্রোরেলে নারী-শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
ঢাকার মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী একটি মেট্রোরেলে নারীদের কোচে উঠে পড়া পুরুষ যাত্রীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে নিলুফার পারভিন মিতু নামে এক যাত্রী ফেসবুকে বিষয়টি তুলে ধরেন, যা নজরে এসেছে মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষেরও। বিষয়টি তারা অনুসন্ধান করে দেখার কথা বলছেন। পেশায় চিকিৎসক নিলুফার পারভিন ‘বাংলাদেশ মেট্রোরেলওয়ে ইনফরমেশন’ নামে ফেসবুক গ্রুপে লেখেন, বুধবার বিকালে তিনি মেট্রোরেলে উঠেছিলে ফার্মগেট স্টেশন থেকে। নারীদের জন্য সংরক্ষিত একমাত্র বগিতে ১০-১২ জন পুরুষ ছিলেন। বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা এক শিশুসহ নারীদের শ্লীলতাহানি করেন।
ঘটনার বর্ণনায় গণমাধ্যমকে নিলুফার বলেন, ফার্মগেট স্টেশন ছাড়ার পর এক নারী কাঁদতে কাঁদতে দরজার দিকে এসে ট্রেন থেকে বের হওয়ার জায়গা দিতে বলেন। সে সময় কারণ জানতে চাইলে ওই নারী ও তার শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা বলেন।
নিলুফার বলেন, ‘ওই নারী বলছিলেন, তার মেয়ে ও তাকে বাজেভাবে অ্যাবিউজ করা হয়েছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি নারীদের কামরায় কীভাবে সম্ভব। পরে ওই নারী পেছনের দিকে দেখান, সেখানে ১০-১২ পুরুষ যাত্রী ছিল। তারাই মেয়েদের হয়রানি করছিলেন।
নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়মে পরিণত হয়েছে : মহিলা পরিষদ
নানা অজুহাতে নারীকে হেনস্থা করা এবং নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সামাজিকভাবে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গত বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে পোশাক নিয়ে হেনস্থার ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, নানা অজুহাতে নারীকে হেনস্থা ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা নিয়মে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি গণপরিসরে নারীর নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এসব ঘটনা নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা, স্বাধীন চলাচল ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন, বিদ্বেষ বেড়েছে : শিক্ষক নেটওয়ার্ক
অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন, হয়রানি, হিংসা-বিদ্বেষ বেড়ে চলেছে। নারীরা সমাজে নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন। এমন অবস্থায় প্রতিটি নিপীড়ন ও অন্যায্যতার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার এবং শাস্তি দিতে হবে। গত বুধবার এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক এ দাবি জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ জন ছাত্রীকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী কায়দায় বহিষ্কার করা হয়েছে, যেটি নারীর প্রতি কাঠামোগত (সিস্টেমেটিক) নিপীড়নেরই একটি রূপ বলে আমরা মনে করি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ন্যক্কারজনকভাবে নারীবিদ্বেষী কথা বলেছেন এবং সেটির সঙ্গে ধর্ম ও আইনের ভুলভাল ব্যাখ্যাকে কৌশলে যুক্ত করে দিয়েছেন।
কেকে/এআর