প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সংবাদদাতাদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় রাজধানীর পিআইবি সেমিনার কক্ষে ওই কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য শামছুল হক জাহিদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক পারভীন সুলতানা রাব্বী এবং প্রশিক্ষক সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহ আলম।
কর্মশালায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
জানা যায়, প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরির কৌশল, মক সেশন, ব্যবহারিক ক্লাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকরা বহুমুখী প্ল্যাটফর্মে প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশনে পারদর্শিতা অর্জন করেছেন বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বেতন ভাতার প্রতিবন্ধকতা, নারী সাংবাদিক সংখ্যা বৃদ্ধি, মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং ফ্যাক্ট চ্যাকসহ নানান কর্মশালা চলমান রাখার দাবি তুলে ধরেন।
শামছুল আলম জানান, মোজো জার্নালিজমে এখন ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। একটি গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমান বেশির ভাগ সংবাদ জানার মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। আশা করি ভবিষ্যতে এর সঠিক ব্যবহার করবেন। টেকনোলজির দিকেও নজর দিয়ে তা আত্তস্থ করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে মোজো জার্নালিজম কাজে লাগবে। মোজো জার্নালিজম অনেক মজার সাংবাদিকতা।
ফারুক ওয়াসিফ জানান, সত্যের জয় সর্বদা। জুলাই গণঅভ্যূত্থান সমাজ থেকে অনেক ধরনের ধারণা এবং মবকে দূরীভূত করেছে। সবার হাতে প্রযুক্তি আছে, কিন্ত আপনাকে আলাদা চিন্তাধারাই ব্যবহার করতে হবে। নিজেকে ক্রমাগতভাবে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। জুলাই অভুত্থানে কি কি কাজ হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। যেনো পরবর্তী প্রজন্ম তা জানতে পারে। সাংবাদিক যদি কাউকে সাহায্য না করে তাহলে কারো পক্ষে মাফিয়া হওয়া সম্ভব নয়। সাংবাদিকতা কোন পেশা নয় এটা আবেগের বিষয়। আশা করি এই কর্মশালায় অর্জিত জ্ঞান আপনাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
কেকে/এআর