দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় বঠতলা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে সেখানে বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত না হলে কঠোর আন্দোলনের কথা জানান তারা।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকের কবর দে, আমার বোন ধর্ষিত কেন প্রশাসন জবাব দে, দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকের ফাঁসি দে, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই ধর্ষকের ফাঁসি চাই”, আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই, ধর্ষক হলো সমাজের ঘুনপোকা আর ধর্ষণ হলো ব্যাধি, আমি মেয়ে আমি অবহেলিত, ধর্ষণের বিচার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোকসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৫ বছরে দেশে ২৭ হাজারের বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন থাকায় এই ধর্ষকদের বিচার করা হয়নি। আমরা চাই প্রত্যেকটার বিচার হোক। এই ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনাতে হবে এবং জনসমক্ষে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যু নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও বলেন, যত নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে তারা যেন সঠিক বিচার পায় এবং ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পায়।
সহসমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, বিচারবিহীন সংস্কৃতির কারণেই ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়েই চলেছে। ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। তাদের মৃত্যুর নজির স্থাপন করতে হবে। যেন কোনো মানুষ ধর্ষণ করার সাহস না পাই।
সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ধর্ষকদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে নারীর অবদান অনেক। আমাদের মা-বোনদের যারাই ধর্ষণ বা নিপীড়কের দৃষ্টিতে দেখে ছাত্রসমাজ তাদের চোখ উপড়ে ফেলবে। সরকারকে বলব এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে।
সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ছোট্ট শিশু আছিয়া ধর্ষণের ঘটনায় আজ সারা বাংলাদেশ প্রতিবাদে জেগে উঠেছে। বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে। আমরা এসব নরপশুদের ফাঁসি চাই। জুলাইয়ের ছাত্রজনতা আবারো ফুঁসে উঠেছে। ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা না হলে ছাত্র-জনতা আবারও আন্দোলনে নামবে।
কেকে/এএস