ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.এরশাদুল আহমেদ। যোগদানের দুই মাসেই একজন মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ঈশ্বরগঞ্জের সাধারণ মানুষের আস্তাবাজন হয়ে উঠেছেন অল্প কিছু দিনেই। বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পালটে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। বর্তমান উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন তিনি। গত দুই মাসে সার্বক্ষণিক সেবামূলক কাজ করে মানবিক ইউএনও হিসেবে উপজেলাবাসীর নিকট পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হন। নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে লাগে না কোনো অনুমতি। ইচ্ছা করলে যে কেউ তার অফিসে বিনা-অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারেন।
উনি যোগদান করার পর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ ক্রীড়াঙ্গনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে ভলিবল, ফুটবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেটসহ জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা। খেলোয়াড়দের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য তাদের খেলাধুলার সরঞ্জাম দিয়েছে।
রমজান মাসে উপজেলা চত্বরে সুলভ মূল্যে হাট দিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন ঈশ্বরগঞ্জবাসীর কাছে, এখানে গরুর মাংস, তেল, ডাল, মুরগী, মাছ, কাঁচাবাজার, সেমাই, চিনি, ফলমূল ইত্যাদি পণ্য সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি কারণে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলায় অবৈধভাবে বালু মজুদ রাখা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ইভতিজিং, মাদক, খাবার হোটেল, রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল, লোকাল ট্রাক চলাচল, অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধ করার জন্য তার রয়েছে বিশেষ নজরদারি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে অনেকেই বলেন, এমন সৎ মানুষ প্রত্যেকটি উপজেলায় যেন হয়। ঈশ্বরগঞ্জের দরিদ্র মানুষের পাশে সবসময় পাওয়া যায়। নিরলসভাবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সেবার হাত বাড়িয়ে ছুটে বেড়ান। অল্পদিনে আমাদের মনে স্থান করে নিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, আমি কাজ করি আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য। এই উপজেলায় অনেক হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে তাদের জন্য কিছু করতে চাই। কোনো সমস্যা দেখলে সাথে সাথে সমাধান করার চেষ্টা করি। বাজার মনিটরিং করি। সবসময় কাজের মাঝে থাকতে পছন্দ করি।
কেকে/এএম