মাদারীপুরের খোয়াজপুরে অবৈধ বালু ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারের বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময়ে মসজিদে ঢুকে দুই ভাইসহ ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৮০ জনকে আসামিকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) সকালে নিহত দুই ভাইয়ের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
নিহত দুই ভাই হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর গ্রামের আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার (অলিল) এবং অপর নিহত হলেন—মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩৫)। পলাশ সরদার সম্পর্কে একই বংশের চাচাত ভাই।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। এ নিয়ে দ্বন্দ হয় একই এলাকার হোসেন সরদার ও শাজাহান খানের সাথে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে হোসেন সরদার ও শাজাহান খানের লোকজন সাইফুলের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদে আশ্রয় নেয় সাইফুল, বড়ভাই আতাউর ও অলিলসহ কয়েকজন। প্রতিপক্ষ মসজিদে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে। আহত হয় অন্তত ৫ জন। তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। ঢাকায় নেওয়ার পথে পলাশ সরদার মারা যায়৷ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান জানিয়েছেন, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার মামলায় ইতোমধ্যে তিনজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কেকে/এএম