রাজধানীর মোহাম্মদপুরে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মো. বিল্লু মিয়া (৩৫) ও তার ৩ জন সহযোগীসহ মোট ৪ জন ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যকে মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও লুন্ঠিত সিএনজিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
সম্প্রতি সময়ে র্যাব-২ এর অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা হতে জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ভূইয়া সোহেল, চুয়া সেলিম,শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘কব্জিকাটা গ্রুপ’-এর প্রধান মো আনোয়ারসহ একাধিক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মো. বিল্লু মিয়া (৩৫) ও তার ৩ জন সহযোগী—আবু জাহের, আল আমিন ওরফে পাঠা আল আমিন ও মো. আলমগীরসহ ৪ জন ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও লুন্ঠিত সিএনজিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি রিভলবার, ১টি পাইপ গান, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি এমটি কার্টিজ, ১টি সিএনজি, ১ টি চাকু, ১টি রেঞ্জ, ২টি প্লায়ার্স, ১টি সামুরাই, ১টি শাবল, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ২টি র্যাব-পুলিশ সদৃশ্য কালো রঙের জ্যাকেট, ২টি কালো ক্যাপ ও ৪টি মোবাইল।
বিভিন্ন সূত্র থেকে র্যাব জানতে পারে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে। উপরোক্ত ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে র্যাব আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) রাতে ডাকাত ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মো. বিল্লু মিয়া (৩৫) কে মোহাম্মদপুর থানাধীন বাঁশবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির দেহ তল্লাশিকালে আসামির পরিহিত প্যান্টের পেছনের কোমরে রক্ষিত অবস্থায় ১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং তার দলের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামির দেওয়া তথ্যমতে, মোহাম্মদপুর থানাধীন লাউতলা এলাকা থেকে তার অন্য ৩ জন সহযোগীকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। কয়েকজন সহযোগী অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানায়, যারা পালিয়েছে, তাদের নজরদারিতে রাখা হবে এবং গ্রেফতার করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
কেকে/এএম