প্রকাশ: রোববার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৩ পিএম (ভিজিটর : ১১৩)

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল। ছবি: প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। প্রেগনেন্সি-সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক তরুণীর (১৭) প্রসবের পর নবজাতকের মরদেহ টয়লেটের পাইপে আটকে থাকার ঘটনা সামনে এসেছে।
শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ৮টায় ওই তরুণী তার বাবা-মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেন এবং একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশ দেন। সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি গাইনি বিভাগের ৫০২ নম্বর কক্ষে ভর্তি হন।
বিকেলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়ে পাইপের মধ্যে নবজাতকের দেহের অংশবিশেষ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, এতে হাসপাতালজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী ও তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পুলিশকে বিষয়টি জানায়। তদন্তের একপর্যায়ে ভর্তি হওয়া ওই তরুণী স্বীকার করেন, তিনি নিজেই গোপনে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে নবজাতককে প্রসব করেন এবং টয়লেটে ফেলে দেন।
তবে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তরুণীও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তরুণী অবিবাহিত এবং জেলার একটি কলেজের শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শিবাস্তিন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। এখনই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবিএম তৌহিদুজ্জামান বলেন, তরুণী সকালে স্বজনদের সঙ্গে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। এমন ঘটনায় আমরা মর্মাহত। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেকে/ এমএস