সম্প্রতি দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ধর্ষণের এ নির্মম প্রবণতা যেন এখন মহামারি রূপ নিয়েছে। যা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।
অতিসম্প্রতি মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের এক শিশু। চার দিনেও জ্ঞান ফেরেনি তার। ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটির অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ থাকায় গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে কৃত্রিম যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে তার।
এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে পুরো দেশ। ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের সামনে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে নানা সেøাগান দিতে দেখা যায়। গতকাল ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে দেখতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। নারীরা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ঘরে-বাইরে দায়িত্ব পালন করবে। এতে যারা তাদের বাধা দিতে আসবে, সহিংসতা করতে আসবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির ছবি, ভিডিও যেসব গণমাধ্যম ও ব্যক্তি প্রকাশ ও প্রচার করেছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার বিরতি ছাড়া ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ধর্ষণের মামলা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত ও ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ধর্ষণের মামলাগুলো তদারকি করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আলাদা একটা সেল থাকবে, যেন অযথা সময়ক্ষেপণ না করা হয়। তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে অতি দ্রুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা একটা হটলাইন দেওয়া হবে, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। রাস্তাঘাটে কোনো ঘটনা ঘটলে ওই হটলাইনে অভিযোগ করা যাবে। এটা তদারকি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সেল রাখা হবে।’
তবে ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী প্রক্টর ও লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক শেহরিন আমিন ভূইয়া। আইনের দোহাই দিয়ে ধর্ষণের ঘটনার বিচার বিলম্বিত করা হচ্ছে সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা শুধু আইনের কথা বলি, রুলসের (আইন) দোহাই দেই; কিন্তু এই রেপিস্টদের (ধর্ষক) শাস্তি দিতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগার কথা নয়। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে পারলে ধর্ষণের ঘটনা কমে যাবে বলে বিশ্বাস করি। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ সমাবেশ করেন।
এ ছাড়া এ বর্বরতার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। ব্যানার-পোস্টার ও সেøাগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। এ জাগরণে যোগ দিয়েছে সাধারণ মানুষও। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছেন। সবাই এক কণ্ঠে দাবি তুলেছে ‘ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’ গতকাল ঢাকার শাহবাগ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ধর্ষণবিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন।
ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ : দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার দিনভর এসব কর্মসূচি পালিত হয়। এ ছাড়া সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নিপীড়নসহ সার্বিক বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নেতৃত্বে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ গঠন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার মধ্যরাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা। দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হল এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ স্লোগানে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি এবং নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গতকাল রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি, লোকপ্রশাসন, বাংলা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ করেছেন।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে ধর্ষকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে মুখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের। এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’, ‘হ্যাং দ্য রেপিস্ট, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : এদিকে দেশে ধর্ষণ প্রতিরোধে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল করে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ-মিছিলে উত্তাল শাবিপ্রবি : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর এলাকায় সব হলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। গোলচত্বর হয়ে বিক্ষোভ মিছিল মুক্তমঞ্চে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। তবে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে শিক্ষার্থীরা গতকাল রোববার দুপুর দুইটায় আবারও বিক্ষোভ করেন।
রাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন : সারা দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতিবাদ সমাবেশে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ : মাগুরায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। তারা ধর্ষণকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ জানান।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি বেরোবির : দেশে ধর্ষণসহ নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ধর্ষণের শিকার নারীর কান্না ফুরাবার আগেই ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বিকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ : দেশব্যাপী চলমান নারী নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক নেটওয়ার্ক। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এ সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আরো উপস্থিতি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া রহমান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
ঢাবি সাদা দলের উদ্বেগ প্রকাশ : সম্প্রতি দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। একইসঙ্গে কিছুদিন আগে মাগুরা সদরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ৮ বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি সাদা দল। গতকাল রোববার সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানান। বিবৃতিতে ধর্ষকদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাপূর্বক দেশে নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ এবং হত্যা বন্ধের ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
কেকে/এআর