ঢাকার মালিবাগে অবস্থিত আবুজর গিফারী কলেজের অধ্যক্ষ বশীর আহম্মদের বিরুদ্ধে বিধি বর্হিভূত কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন বিল-ভাউচার দিয়ে কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তি অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবুজর গিফারী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী।
অব্যাহতিপত্রে বলা হয়, কলেজের আর্থিকখাতে দুর্নীতি, বিভিন্ন বিষয়ে এডহক কমিটিকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রদান, দায়িত্বে অবহেলা, গভর্নিং বডি গঠনের লক্ষ্যে প্রশ্নবিদ্ধ ভোটার তালিকা দিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনসহ নানান বিষয়ে বলপ্রয়োগ করার চেষ্টা করায় অধ্যক্ষ পদ থেকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও আনীত অভিযোগসমূহের বিষয়ে নিম্নোলিখিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠিনের কথাও বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় দিবসগুলোতে অবৈধ বিল-ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ, নিজস্ব আপ্যায়নে বেশি টাকা নেওয়া, কলেজের বিভিন্ন ক্রয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে টাকা পকেটস্থ করেছেন তিনি। কলেজের কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না রিক্যুয়েস্ট ফর কোটেশেন। নিজেরা কিনে নিজেরাই যাচাই-বাছাই করে যেমন ইচ্ছে তেমন বিল করে অর্থ লোপাট করছেন। গেল দুই বছর কলেজের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ অডিট করছেন না অধ্যক্ষ, কলেজ এডহক কমিটির সভাপতি বারবার বলার পরেও গড়িমসি করেছেন বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে কলেজ এডহক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠান চালাতে চাই। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও বিধি বর্হিভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করা, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের অন্যায় ও বিমাতাসুলভ আচরণে ক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও নবীনবরণ বঞ্চিত শিক্ষার্থীরাসহ কলেজের বিভিন্ন শ্রেণি ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুর্নীতিগ্রস্থ, বিতর্কিত অধ্যক্ষ বশীর আহম্মদকে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষাণা করে আজীবনের জন্য বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।
কেকে/ এএম