বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫,
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম: পাকিস্তানে ট্রেনের যাত্রীদের জিম্মি: ২০ সেনা নিহত, জিম্মি ১৮২       রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান      হাবীবুল্লাহ বাহারের উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, দম্পতি গ্রেফতার      ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি, আহত পুলিশ      জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল      গাজীপুরে ১০ কারখানায় ছুটি ঘোষণা      শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১২৪ অ্যাকাউন্ট জব্দ      
খোলাকাগজ স্পেশাল
মহাদানব তারিক সিদ্দিক
শিপার মাহমুদ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫৪ এএম  (ভিজিটর : ৬৭)
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাবেক মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক। হাসিনার শাসনামলে ছিলেন দেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাকে বিবেচনা করা হতো আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের সব সেক্টরেই বিস্তার করেছিলেন একক আধিপত্য। তাকে বলা হয় আয়নাঘরের কারিগর ও অসংখ্য গুম-খুন এবং ক্রসফায়ারের সেনাপতি। এ ছাড়া ব্যবসা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তার। 

দেশের ব্যাংক-বীমা, পোশাক শিল্প, আবাসন, এভিয়েশন, শেয়ারবাজার, জ্বালানি, এমনকি সামরিক বাহিনীর বদলি-পদোন্নতিতেও তার ব্যাপক প্রভাব ছিল। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনি নানা উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার নাম শুনলেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ত, কারণ একটি ফোন কলেই তিনি শত কোটি টাকা দাবি করতে পারতেন। তার কাছে বহু ব্যবসায়ী জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন।

সূত্র বলছে তারিক সিদ্দিক ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট, জমি ও বাড়ি কিনেছিলেন। ধানমণ্ডি, মিরপুর, বনানী, গুলশান, পূর্বাচল, সাভারসহ বিভিন্ন জায়গায় তার ও তার পরিবারের নামে সম্পদ রয়েছে। বিশেষ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের পাশে এবং জলসিঁড়ি আবাসিক প্রকল্পে তার একাধিক প্লট রয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও গড়েছেন বিপুল সম্পদ। যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের একটি এলাকায় তার মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের নামে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনার তথ্যও পাওয়া গেছে। 

সেনাবাহিনীর পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে তারিক সিদ্দিকের হস্তক্ষেপ ছিল স্পষ্ট। তিনি তার অনুগত ব্যক্তিদের উচ্চপদে বসানোর জন্য ব্যাপক তদবির করতেন এবং এর বিনিময়ে তার পরিবার ও আত্মীয়রা নানা সুবিধা নিতেন। বলা যায় সামরিক, বেসামরিক প্রশাসন ও ব্যবসায়িক খাতের অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত তার ইচ্ছানুযায়ী নেওয়া হতো। 

অতিসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজিব হোসাইন নামে এক সেনা কর্মকর্তা একটি ক্রসফায়ারের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে একটি পোস্ট করেন। যা জনমনে রীতিমতো দাগ কাটে। এখানে তিনি ওই ক্রসফায়ারের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন তারিক সিদ্দিক অনেক রাক্ষস সৃষ্টি করেছিলেন। 

এ রাক্ষসদের একমাত্র কাজ ছিল হাসিনার স্বৈরশাসনকে সুসংহত করা এবং এ প্রজেক্ট তাদের ক্ষমতা গ্রহণের একেবারে শুরু থেকেই চালু হয়। রাষ্ট্রের সকল বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবখানেই এ রাক্ষসদের বিচরণ ছিল। এদের অনেকেই স্বেচ্ছায় এগিয়ে যেয়ে আত্মা বিক্রি করেছিল। পার্থিব কিছু প্রাপ্তির লক্ষ্যে এরা আল্লাহ ভীতি বর্জন করে, রক্তের খেলায় মেতে উঠে। তিনি আরো লিখেন হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচার করে আসলে পাপ আর সমানুপাতিক শাস্তির ভারসাম্য হবে না। এদের পাপ, কুকর্ম ও মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়ার মাত্রা এতো বেশি। এর শাস্তির মাত্রা কি হওয়া উচিৎ; তা বোধ করি দুনিয়ার মানুষের সাধ্যে নির্ধারণ করা সম্ভব না।

তারিক সিদ্দিকের সম্পদের পাহাড় : পূর্বাচলে দেশের সবচেয়ে আধুনিক শহর জলসিঁড়ি আবাসিক প্রকল্পের ১৭টি সেক্টরের মধ্যে ৫টি সেক্টরে তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের নামে ৪১টি প্লট রয়েছে। প্লটগুলো হাউজিংয়ের সেক্টর-১, সেক্টর-২, সেক্টর-৩, সেক্টর-১০ ও সেক্টর-১৫ এর বিভিন্ন রোডে। এরমধ্যে মুশুরীগ্রাম মৌজা সেক্টর-১ এর ৫০৫ নম্বর রোডে ২০ কাঠার একটি প্লট, ৫০২-এফ নং রোড ও ৪০১-এ নং রোডে ২টি ৫ কাঠার প্লট। এ ছাড়া ৪০১-বি নং রোডে একটি ২০ কাঠার প্লট, ৫০১ রোড ও ৪০৩-বি নং রোডে ১০ কাঠার আরও দুটি প্লট। এবং ৫০৩ নং রোডে ৫ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। একই মৌজায় জলসিঁড়ির ২ নম্বর সেক্টরে তারিক সিদ্দিকের বেশ কয়েকটি প্লট রয়েছে। এরমধ্যে ২০৭ ও ৪০২ নং রোডে ২০ কাঠার দুটি প্লট, ৪০৫, ৪০৬ ও ৫০১ নং রোডে ১০ কাঠার ৩টি প্লট। ৪০৭, ৫০১সি ও ৫০১বি নং রোডে ৫ কাঠার ৩টি প্লট। 

এ ছাড়া দক্ষিণ নবগ্রাম মৌজায় জলসিঁড়ির ৩ নম্বর সেক্টরে ৪০২, ৪০৩, ৫০২, ২০৭, ৪০২ এইচ নং রোডে ৫ কাঠার ৬টি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া বাঘাবের মৌজায় জলসিঁড়ির ১০ নম্বর সেক্টরে বেশ কয়েকটি প্লট রয়েছে। এরমধ্যে ১০৯, ৩০৩বি, ৪০৭, ৫১১, ৪০৬, ৪০২, ৪০৩, ২০৫ নং রোডে ৫ কাঠার ১০টি প্লট। ৪০৩ নং রোডে ১০ কাঠার একটি প্লট পাওয়া গেছে। এছাড়া জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে ৩০১ নম্বর রোডে একটি কমার্শিয়াল স্পেস, ১০৪বি, ১০৪জি নং রোডে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট স্পেস এবং ১০৪, ৪০৬, ৫১৬, ৪০৮ ও ৩০৪ নং রোডে ৫ কাঠার ৬টি প্লট রয়েছে। রূপগঞ্জ আনন্দ হাউজিং, পূর্বাচল হিল সিটি, আশালয় হাউজিং, পূর্বাচল লেক ভিউ সিটিতে তার বিপুলসংখ্যক প্লট রয়েছে। 

শুধু পূর্বাচল নয় তারিক সিদ্দিক বিপুল পরিমাণ জমি কিনেছে ঢাকার অদূরের জেলা গাজীপুরেও। ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসব জমি ক্রয় করা হয়। এসব জমিতে বাগানবাড়ি, পুকুর, প্রাসাদ, পশুপাখিও লালন-পালন করা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর জয়দেবপুর উপজেলার ফাওকাল মৌজায় মোট ৭টি দাগে ৬৯০ শতাংশ জমি রয়েছে তারিক সিদ্দিকের। জমিটি বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা ও সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের কানাইয়া এলকায় অবস্থিত। ওই জমিতে একটি সুবিশাল বাগানবাড়ি রয়েছে। যেখানে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ও বিশাল দুটি পুকুর আছে। ৫ই আগস্টের পরে সেখানে স্থানীয়রা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কয়েক ধাপে জমিগুলো কেনা হয়। পরে বাউন্ডারি দেয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ২০১৩ সালে গাজীপুর জয়দেবপুর উপজেলার বাঙ্গালগাছ মৌজায় ৯টি দাগে ৭৫০ শতাংশ জমি কেনেন তারিক সিদ্দিক। জমিটি সিটি করপোরেশনের ৩০নং ওয়ার্ডের বাঙ্গালগাছ এলাকায়। ওই জমিতে বিশাল একটি বাংলো বাড়ি করেছে। 

যার নাম দেয়া হয়েছে বাগান বিলাস। তবে বাগান বাড়ির গেটে যে নাম ফলকটি রয়েছে সেখানে রফিক আহমেদ সিদ্দিকের নাম লেখা রয়েছে। ৫ই আগস্টের পরে এই বাড়িটিও ভাঙচুর করে এলাকাবাসী। জমিটি স্বপন মিয়া নামের স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর মধ্যস্থতায় কেনা হয়। এ ছাড়া গাজীপুর সদর উপজেলার চান্দনা মৌজায় কুমার ডোবা এলাকায় তারিক সিদ্দিকের নামে ১৩ বিঘার একটি বাগানবাড়ি রয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকার পাশের উপজেলা কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান, সাভার, আশুলিয়া, কালীগঞ্জ, ধামরাইতে বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে তারিক সিদ্দিকের। ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসব জমি কেনা হয়।

এছাড়া মিরপুর ডিওএইচএসে এভিনিউ-১ এবং এভিনিউ-৩ রোডে স্ত্রীর নামে ১৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে ধানমণ্ডিতেও। এ ছাড়া পল্লবী সিরামিক রোডে স্ত্রীর নামে ১০ তলা একটি বাড়ি রয়েছে। ক্যান্টমেন্ট থানা এলাকায় স্ত্রী-সন্তানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে তারিক সিদ্দিকের। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বারিধারা পশ্চিম ডিওএইচএসে তারিক সিদ্দিকের একটি বাড়ি রয়েছে। রোড নং-০২। বাড়ি নং-১২২/২। এ ছাড়া সাভার ডিওএইচএসেও তারিক সিদ্দিক পরিবারের বেশ কয়েকটি প্লট, ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ক্যান্টনমেন্ট থানার জোয়ার সাহারা, ইব্রাহিমপুর, ধামালকোট মৌজায় শাহিন সিদ্দিকের নামে বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এসব জমি  জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের এনটিএমসি সাবেক ডিজি জিয়াউল আহসান কিনে দিয়েছেন বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর বদলি পদোন্নতি সহায়তা দিয়ে গুলশান থানার গুলশান আ/এ, ঢেলনা, মহাখালী, বনানী আ/এ, পশ্চিম উলুন মৌজায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক ভবনও উপহার নিয়েছেন সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক। কিছু কিছু সম্পত্তি মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের নামে রয়েছে। বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায়ও। এসব জমি বাড্ডার সাঁতারকুলে মগারদিয়ার পূর্ব হাররদিয়া মৌজায় বাড্ডা মডেল টাউনের মধ্যে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধুমাত্র ঢাকায় নয় তারিক সিদ্দিক দেশের নানা প্রান্তে জমি কিনেছেন। এমনকি লন্ডনে ১৯ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ কোটি টাকা) মূল্যে একটি আলিশান বাড়ি কিনে দিয়েছেন মেয়ে বুশরা সিদ্দিককে। লন্ডনের ফিঞ্চলি এলাকার গোল্ডারস গ্রীন কানঘাট ড্রাইভের ৫৪ নম্বর বাড়িটি যুক্তরাজ্যের ওয়েলেস এইচ এম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি অফিসে ২০১৮ সালের ২রা আগস্ট বাড়িটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে দুইজনের নামে। তারা হলেন- মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিকের ছোট মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও তার স্বামী মোহাম্মদ আশিক সালাম। এ ছাড়া তারিক সিদ্দিক তার বড় মেয়ে নুরীন তাসমিয়া সিদ্দিককে লন্ডনের পার্শ্ববর্তী টাউন ক্যান্টে আরেকটি দামি বাড়ি কিনে দিয়েছেন বলে খোঁজ পাওয়া গেছে।

‘আয়নাঘর’ কারিগরও তিনি : শেখ হাসিনা পতনের পর নিখোঁজ থাকা তিনজন ফিরে এসেছেন, যাদের দীর্ঘদিন কোনো হদিস ছিল না। এরপরই আলোচনায় আসে ‘আয়নাঘর’। এর আগেই এই ‘আয়নাঘর’ আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এটা বাস্তবে আছে কি না, তা নিয়ে তখন অনেকেরই সংশয় ছিল। কিন্তু ফিরে আসা ব্যক্তিরা গণমাধ্যমে মুখ খোলার পর জানা গেল, বাস্তবে ‘আয়নাঘর’ আছে, যেখানে গুম করে রাখা হয় এবং নির্যাতন করা হয়। আলোচিত গোপন কারাগার ‘আয়নাঘর’ তৈরিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।  

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, ‘আয়নাঘর’ মূলত তৈরি হয়েছে ২০০৯ সালে। এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের নেতাদের অপহরণ করে বছরের পর বছর ধরে ‘আয়নাঘরে’ রাখত। আবার কাউকে মেরেও ফেলা হয়েছে। এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষকর্তারা অবহিত ছিলেন। এসব কর্মকাণ্ড করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা পদোন্নতি পাওয়া থেকে শুরু করে পুরস্কৃতও হয়েছেন। সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গত ১৫ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করার পর ‘আয়নাঘর’সহ নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দাদের জেরার মুখে জিয়াউল আহসান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নাম বলেছেন। জিয়াউল আহসান দীর্ঘদিন র‌্যাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভিন্নমত এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল দমন করার জন্য গুমের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ পর্যন্ত গুমের ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব ও বাহিনীটির কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত রিকশাচালকের মৃত্যু
বিএনপি নেতার সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী
উত্তরায় ৬৩ কোরআনের হাফেজকে সম্মাননা প্রদান
লাখ টাকার মিষ্টি কুমড়া এখন কৃষকদের গলার কাঁটা
টঙ্গীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া

সর্বাধিক পঠিত

হত্যা মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
রানীক্ষেত রোগে রায়হানের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার
টঙ্গীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া
সিরাজগঞ্জে স্কচস্টেপ দিয়ে প্যাচানো মরদেহ উদ্ধার
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close