গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক নাদিম হোসেন বিহারীসহ আটজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে মামলার বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. মোশারফ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বিকেলে গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম জামিন আবেদন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নাদিম হোসেন বিহারী (৪০) উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও রেল কলোনীর মনোয়ার হোসেন বিহারীর ছেলে। কারাগারে পাঠানো অন্য আসামীরা হলেন, বামনডাঙ্গা রেল কলোনীর নুর ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৭), শরিফ খানের ছেলে আশিক খান (৩৫), সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের আকরাম আলীর ছেলে লাজু মিয়া (৪১), সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের সামছুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম অবুঝ (৪৮), বামনডাঙ্গা কুঠিপাড়া গ্রামের রইচ আলী ওরফে রইচ উদ্দিনের ছেলে আলেপ উদ্দিন (৫০), একই গ্রামের মৃত আমির হামজার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪২) ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কর্নিপাড়া দিনবন্ধু সরকারের ছেলে পিন্টু কুমার সরকার (৩৫)।
অ্যাডভোকেট মো. মোশারফ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামী হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা সোমবার গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য আত্মসমর্পণ করেন। তবে বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১০ বছর পর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে গত ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
কেকে/এআর