ঢাকার কেরানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পুলিশকে মারধর করে আসিফ(২৫) নামে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতারের সময় ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই পিযুষ সরকার ও কনস্টেবল রাজিব সিকদার আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বেগুনবাড়ী ব্রীজের ঢালে কালু বেপারীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশের উপপরিদর্শক পীযূষ সরকার কনস্টেবল রাজিব ও রাসেলকে নিয়ে মাদক মামলার ওয়ারেন্টের আসামী মো. আসিফকে ধরে হাতকড়া পড়ায়। এসময় আসিফ ও তার ছোট ভাই মো. মারুফ হোসেন পুলিশকে ওয়ারেন্টের কপি দেখাতে বলে ডাক-চিৎকার শুরু করে। পরে পুলিশের এসআই পীযূষ ওয়ারেন্টের কপি দেখালে আসিফের ছোট ভাই মারুফ পুলিশের কাছ থেকে ওয়ারেন্টের কপি টান দিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং সে নিজেকে ও তার ভাই আসিফকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করে আশেপাশের লোকজন জড়ো করে মো. আসিফ, মারুফ হোসেন, আবুল বাশার, মো. আবুল, ইউসুফ দেওয়ানসহ ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ পুলিশের ওপর হামলা করে।
হামলায় পুলিশের এসআই পীযূষ সরকার ও কনস্টেবল রাজীব সিকদার গুরুতর জখম হয়। এ সময় হামলাকারীরা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মো. আসিফকে হাতকড়াসহ পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আক্রান্ত পুলিশ দ্রুত বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে আশেপাশের টহল টিমকে সংবাদ দিলে টহল ডিউটিতে থাকা অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে আহত পুলিশদের উদ্ধার করেন।
পরে তারা অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যা সাবান ফ্যাক্টরী মক্কা টাওয়ার থেকে আসামী আসিফসহ ৫ জনকে আটক করে এবং পুলিশের খোঁয়া যাওয়া হাতকড়া উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন, তবে কেউ যদি সমন্বয়ক দাবি করে কোন অনৈতিক কাজ করে সরকার তার প্রচলিত নিয়মে আইন প্রয়োগ করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা নাগরিক পার্টি এর দায়ভার নিবে না।
এদিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
কেকে/এজে