রাজধানীর উত্তরায় পবিত্র কোরআনের ৬৩জন হাফেজকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকাল ৪টায় উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত প্যান ডি এশিয়া রেস্টুরেন্ট কনভেনশন হলে ‘হাফেজে কোরআন সম্মাননা ও ইফতার মাহফিল’ শীর্ষক এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে কোরআনের হাফেজদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পবিত্র কুরআন শরীফ তুলে দেয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, প্রধান মেহমান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির স্কুল ও বিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমগীর, বিশেষ অতিথি ডিএনসিসি'র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নাইন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ভাই ভাই প্রপার্টিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উসমান গণি দুলাল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আবৃত্তিশিল্পী মো. আশরাফুল আলম সবুজের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোরআনকে বুকে ধারণ করার মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে যারা ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের কিয়ামতের ময়দানে মহান আল্লাহ তায়ালাই উত্তম পুরস্কারে ভূষিত করবেন। আপনারা যারা কুরআনের ধারক-বাহক হাফেজ ও শিক্ষকরা রয়েছেন তারা আল্লাহর কাছে খুবই মর্যাদাবান। আশা করি আপনাদের মেহনতে সমাজ আলোকিত হবে।’
প্রধান মেহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর বলেন, ‘সমাজে আল্লাহর বানী পবিত্র কোরআনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে কোরআনের হাফেজদের অবদান অনস্বীকার্য। যারা কোরআনের আলোকে জীবন গড়ে তারা আখিরাতে যেমন মর্যাদার দাবিদার ঠিক তেমনি রাষ্ট্রীয়ভাবেও তারা সুনাগরিক। উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের এই আয়োজনটি সত্যিই ভালো লাগল।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নাইন বলেন, ‘কোরআন মানুষের হৃদয়কে আলোকিত করার পাশাপাশি সমাজকেও আলোকিত করে। আমরা আশা করি আপনারা আজকের কোরআনের হাফেজরাই আলোকিত সমাজ গড়ায় অবদান রাখবেন।’
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তারেকউজ্জামান খান বলেন, উত্তরার ৫০টি মাদ্রাসা থেকে হিফজ সম্পন্নকারী মোট ৬৩জন হাফেজকে এ বছর আমরা সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেছি। আল্লাহর গ্রন্থ আল কোরআন মুখস্তকারীদেরকে উৎসাহ যোগাতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতেও আমরা কোরআনের হাফেজদের কল্যাণে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। আয়োজন সফল করায় এসময় তিনি উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও কলাকুশলীদের বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, মো. হোসেন আলী মিঠু, হাফেজে কুরআন সম্মাননা ও ইফতার আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মিঠুসহ আগত শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
কেকে/ এমএস