ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত এক সহকারী ভূমি কর্মকর্তার ভোগ দখলীয় জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জবর দখল করার অভিযোগ উঠেছে শাহাজান আলী নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য ও এক মির্জামুল নামে সাবেক কাউন্সিলরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে অবসরপ্রাপ্ত সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আনিসুল হক নামে এক ভূক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনিসুল হক অভিযোগ করেন, পীরগঞ্জ পৌর শহরের মিত্রবাটী মৌজার ১৪নং খতিয়ানের ৪৩৬নং দাগের সাড়ে ৪২ শতক জমি তিনি ২০১৮ সালে তার স্ত্রী খালেদা পারভীনের নামে ৩১৯০নং দলিল মুলে ক্রয় করে খারিজ করে ভোগ দখল করতে থাকেন।
গত ২০২২ ও ২০২৩ সালে তার স্ত্রী খালেদা বেগম সেনগাঁও ইউনিয়নের বেলদহী এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে অবরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহাজান আলী ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মির্জামুল হকসহ কয়েকজনের কাছে ওই সাড়ে ৪২ শতক জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। পরে তারা নিজ নিজ নামে ওই জমি খারিজ করে ভোগ দখল করে আসছেন।
সম্প্রতি মিত্রবাটী এলাকার জনৈক মিন্টুর উসকানিতে অবরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহাজান আলী এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর মির্জামুল হকসহ কয়েকজন ভূমিদস্যু আনিসুল হকের মিত্রবাটী মৌজার ১৯নং খতিয়ান ও ৪৩৭নং দাগের সাড়ে ৩৫ শতক জমির ওপর নির্মাণ করা প্রাচীর ভেঙ্গে বাঁশের বেড়া দিয়ে অন্যায় ভাবে জবর দখল করে নেন।
এ সময় আনিসুল হক ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাঁধা দিলে তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেন তারা। তারপর থেকে ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও সাবেক কাউন্সিলরের লোকজন আনিসুলের বাড়ির আশপাশে বিভিন্ন সময়ে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছেন। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। এতে আতঙ্কিত হয়ে জীবনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন আনিসুলসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
অভিযোগ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহাজান আলী জানান, অনিসুল ভুয়া কাগজ পত্র দেখিয়ে তাদের কাছে জমি বিক্রি করে তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। এজন্য তারা আনিসুলের অন্য জমি দখল করেছেন।
সাবেক কাউন্সিলর মির্জামুল বলেন, আমি কারো জমি দখল করিনি। আমাকে অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত চলছে।
কেকে/এএম