রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার ঠোডার মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ আনন্দ মেলার টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিএনিপি নেতা মনির চেয়ারম্যানের বাসায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে রাখা ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত পর্যন্ত ঈদ আনন্দ মেলা নিয়ে বিএনপির মনির হোসেন চেয়ারম্যানের অনুসারী এবং সাবেক এমপি আমান উল্লাহ আমান এর অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মনির হোসেন চেয়ারম্যান গ্রুপের সদস্যরা প্রতিপক্ষ গ্রুপের পারভেজ হোসেন বাবু, মো. রাব্বি, ও মোবারক হোসেন নামে তিনজন ব্যক্তিকে গুরুতর জখম করে।
ঘটনার পর পুলিশসহ যৌথবাহিনীর সদস্য মনির চেয়ারম্যান এর বাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ও বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গুলিগুলো তার ব্যবহৃত বৈধ একটি বৈধ অস্ত্রের গুলি তবে এগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিলো।
এর আগে গত ২০০৯ সালে সাধারণ জনগণের উপর ২০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে অস্ত্রসহ আটক হন মনির হোসেন চেয়ারম্যান। পরে বাকি ৩০ টি গুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে বাসায় পড়ে ছিলো।
কামরাঙ্গীরচরে বিএনপির দুই গ্রুপের মুখামুখি অবস্থানে পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মনির চেয়ারম্যানসহ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম।
কেকে/ এমএস