ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দিয়ে অবসান ঘটে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের। তবে হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে ভারত। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটির গণমাধ্যম। হাসিনা পতনের অবব্যহিত পরই দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে।
এ ছাড়া দেশটির সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী তৎপরতা চালাতে থাকে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্য ভারতের সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দেয়। তবু থামেনি ভারতীয় এই অপতৎপরতা। এবার তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ইস্যুতে পতিত স্বৈরশাসকের দোসরদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এবং ইন্ডিয়া টুডে সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা এবং চেইন অব কমান্ড ভাঙার মতো ভিত্তিহীন ও মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে প্রকাশ করা সংবাদ মিথ্যা ও পরিকল্পিত বলে দাবি করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর। গত মঙ্গলবার রাতে আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্য ইকোনমিক টাইমস ও দ্য ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত একের পর এক ভিত্তিহীন ও মনগড়া প্রতিবেদন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ওই সব প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর ভেতরে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা এবং শৃঙ্খলা (চেইন অব কমান্ড) ভেঙে পড়ার কথা বলা হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পুরোপুরি মিথ্যা এবং সেগুলো বাংলাদেশ ও এর সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করার জন্য পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ বলে প্রতীয়মাণ হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। আমাদের চেইন অব কমান্ড শক্তিশালী রয়েছে এবং জ্যেষ্ঠ জেনারেলরাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আনুগত্যে অবিচল রয়েছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যেকোনো অভিযোগ পুরোপুরি বানোয়াট ও বিদ্বেষপূর্ণ।
আইএসপিআর বলেছে, এটা বিশেষভাবে উদ্বেগের যে দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সর্বশেষ এই প্রতিবেদনের মাত্র এক মাস আগেও ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি এই গণমাধ্যমে একই ধরনের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। পেশাগত এ আচরণের কারণে এসব সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। এ ছাড়া বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল ও কয়েকটি অখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেল এসব মিথ্যা প্রচার করেছে, যাতে অপপ্রচার আরও তীব্র হয়েছে। মনে হচ্ছে, তারা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলার পরিবর্তে মিথ্য তথ্য ছড়ানো এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা এসব সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি ভালো সাংবাদিকতার চর্চা করার এবং যাচাই না করে ও চটকদার সংবাদ প্রকাশ না করার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে যে, এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগে তারা আইএসপিআরের কাছ থেকে মন্তব্য ও ব্যাখ্যা চাইবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে সঠিক ও আনুষ্ঠানিক তথ্য সরবরাহ করার জন্য আইএসপিআর সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। আইএসপিআর বলেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবিচল রয়েছে। আমরা সব সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণ করার এবং মিথ্যা বয়ান প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। এসব মিথ্যা তথ্য শুধু অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
পতিত শক্তির দোসরদের সক্রিয়া করার চেষ্টা :
সম্প্রতি ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে সক্রিয়া হতে শুরু করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কুশীলবরা। গত মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশের ওপর চড়াও হয় একদল বিক্ষোভকারী। অভিযোগ রয়েছে ‘ধর্ষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের’ ব্যানারে এই গোষ্ঠীটি আসলে আওয়ামী লীগের দোসর। জানা গেছে, ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা করতে করতে নারী-পুরুষসহ ৬০-৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঠেকিয়ে দিলে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হতে চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। আহত হন ৭ জন পুলিশ সদস্য। আন্দোলনকারী কয়েজন নারীর নখের আঁচড়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ডিএমপি জানায়, গত মঙ্গলবার ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার একটি বিক্ষোভকারী দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তাদের ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে উদ্ধত ও মারমুখী আচরণ আরম্ভ করে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইন শৃঙ্খলারক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
১২ জনের নামে মামলা
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে রমনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রমনা থানার এসআই আবুল খায়ের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আরও অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, মামলায় ১২ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন অংঅং মারমা (২৫), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইডেন মহিলা কলেজ শাখা সভাপতি সুমাইয়া শাহিনা (২৫), জবি ছাত্র ইউনিয়নের আর্দ্রিতা রায় (২৩), ছাত্র ফেডারেশনের আরমান (৩০), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমিন রহমান (২৫), বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা রিচার্ড (২৬), ছাত্র ফেডারেশনের হাসান শিকদার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (ঢাবি) সীমা আক্তার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌকত আরিফ (২৬), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাঈন আহাম্মেদ (২৪), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহাম্মদ চৌধুরী (২৫)। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
পাঁচ আগস্টের পর বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের যত ষড়যন্ত্র
পোশাক কারখানা শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তোলা : ৫ আগস্টের পর সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা খোলার পর বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা। এতে রফতানিমুখী গার্মেন্টস খাতে বাড়তে থাকে অস্থিরতা। অশান্ত হয়ে পড়ে শিল্পাঞ্চল। বন্ধ হয়ে যায় অনেক কারখানা। সরকারের মধ্যস্থতায় প্রায় মাসব্যাপী আন্দোলনের পর মুজুরি বৃদ্ধি এবং বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্ট’ দেওয়াসহ ১৮টি দাবি মেনে নেয় মালিকপক্ষ। এরপর কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে এ খাতে। যদিও সেই আন্দোলন থামেনি। থেমে থেমে চলে, উঠেছে নানা দাবি। অনেকের দাবি, এই আন্দোলনের পেছনেও ছিল বেশ কিছু ষড়যন্ত্র। নেতৃত্বদানকারীদের যেসব ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে দেখা যায়, অনেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা এর নেপথ্যে কাজ করেছে।
ভারতে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ : গত বছরের নভেম্বরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ হয়। সনাতনী হিন্দু সমাজের ব্যানারে কিছু ভারতীয় ওই বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২৮ নভেম্বর বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামের একটি সংগঠন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আরজি জানান।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান। এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েকশ লোক বিক্ষোভ করেন। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।
প্রপাগান্ডায় ভারতের ‘দায়িত্বশীল’ মিডিয়াও : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউবের মতো সোশ্যাল প্লাটফর্মের পাশাপাশি ‘রিপাবলিক বাংলা’র মতো কথিত গণমাধ্যমে অপপ্রচার চলেছিল। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই অপপ্রচারের প্রতিযোগিতায় নামে অন্য গণমাধ্যমগুলোও। এমনকি ভারতের যেসব গণমাধ্যমকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘দায়িত্বশীল’ মনে করা হতো, তাদেরই এ ধরনের ভুল সংবাদ প্রচারে নেমে যেতে দেখা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের মন্দিরের অনুষ্ঠানকে বাংলাদেশে ভাঙচুরের বলে প্রচার : ভারতের গণমাধ্যমে অপপ্রচারের ধারাবাহিকতায় গত ২ ডিসেম্বর আরটি-ইন্ডিয়ার ভেরিফায়েড এক্স আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট দেওয়া হয়। যেখানে ক্যাপশনে বলা হয়, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির আক্রান্ত। এটিকে হামলাকারীদের দেবীর মূর্তি ভাঙার ফুটেজ বলা হয়। একই ফুটেজ সেখানকার আরও কিছু গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে বাংলাদেশে মন্দিরে আক্রমণ দাবিতে প্রচার হয়। অথচ রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওটি ভারতেরই পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার সুলতানপুরে আয়োজিত কালী পুজোর প্রতিমা প্রাক-বিসর্জনের মুহূর্তের।
কেকে/এআর