কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুদের জন্য সরকার নির্ধারিত টিকা নেই। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, টিকা না থাকায় শিশুদের মা ও স্বজনরা ফেরত যাচ্ছেন।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে শিশুদের ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শিশুদের মা ও স্বজনদের। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুদের টিকা দিতে না পারায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চন্দ্রমল্লিকা নামক ভবনের নিচতলায় টিকাদানের জন্য নির্ধারিত কক্ষটিতে তালা ঝুলানো। পাশের রুমটিতে দায়িত্বে থাকা দু'জন স্বাস্থ্যকর্মীকে তালা ঝুলানো থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা এক নারীকে শিশুদের টিকা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন রবিবার ও সোমবারে আসতে। তবে এ ধরণের লিখিত কোনো নির্দেশিকার দেখা মেলেনি।
পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত টিএইচও ডা. ঈসা খাঁর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন চন্দ্রমল্লিকা ভবনে নির্ধারিত কক্ষে যাওয়ার জন্য। কক্ষটিতে তালা ঝুলানোর কথা বললে তিনি বলেন দু'সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কোনো টিকা নেই। তিনি স্টোরের দায়িত্বে থাকা মোক্তার নামে এক ব্যক্তির সাথে কথা বলতে বলেন। পরে এই ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা দেশেই টিকা সংকট চলছে। দু'সপ্তাহ ধরে টিকা নেই এমনটি তিনি স্বীকার করেন। তিনি টিকা সংকটের বিষয়টি নিয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কথাও উল্লেখ করেন। তবে রবিবারে আবার হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
বেশ কয়েকজন টিকা সেবা প্রত্যাশী অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার দূর দূরান্ত থেকে তারা বেশ কয়েকবার এসেছেন। অনেক টাকা ও সময় ব্যয় করে বেশ কয়েকবার আসার পরেও শিশুদের টিকা না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন তারা।
তবে কবে নাগাদ শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা বলতে পারেনি টিএইচও ডা. ঈসা খাঁ।
টিকার সংকটের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার সংবাদকর্মীদের বলেন, টিকার সংকট হওয়ার কারণ নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংকট আগে ছিল, এখন হয়তো পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। অপারেশন প্ল্যান (ওপি) না থাকায় আমরা রাজস্ব খাত থেকে ৪৬২ কোটি টাকার টিকা কিনেছি।
কেকে/ এমএস