কিশোরগঞ্জ শহরে যানজট দিনে দিনে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শুধু দিনেই নয়, রাতেও যানজট হচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্টে। শহরবাসীর ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় চলে যায় যানজটের কবলে পড়ে। জেলা শহরের একরামপুর থেকে বটতলা মোড়ের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার।
স্বাভাবিকভাবে এটুকু পথ অটোরিকশায় যেতে ৭-৮ মিনিট লাগার কথা। প্রায়ই যানজটের কারণে এই এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে লেগে যায় এক ঘণ্টা। গণপরিবহনে যাতায়াত করা অনেকের কাছেই শোনা যায় এমন অভিযোগ। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় হাঁটাও দায় পড়েছে।
অপ্রশস্ত রাস্তা, অটোরিকশার আধিক্য, অদক্ষ চালক, যেখানে-সেখানে অটোস্ট্যান্ড-যাত্রী ওঠানামা, ফুটপাত দখল, পার্কিংয়ের জায়গার অভাবসহ নানা কারণে যানজট হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পার্কিংয়ের জায়গা না রেখেই রাস্তার দুই পাশের বেশিরভাগ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যত্রতত্র গাড়ি রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। তাছাড়া রাস্তাজুড়ে থাকে ছোট ছোট ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ কাপড় ও ফল বিক্রেতাদের দৌড়াত্ম্য। ফুটপাতও বেদখল। এসব কারণে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
কিশোরগঞ্জ বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, ফুটপাতগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রভাবশালীরা। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত দখলমুক্ত করলেও দু-এক দিন পর আবার আগের অবস্থানে চলে যায়। বড় বাজারে ট্রাক ঢুকলেই বাঁধে যানজট। এমন অবস্থায় ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। শহরের বটতলা থেকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ব্রিজ, পুরান থানা, একরামপুর, রথখলা, নগুয়া, আখড়াবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত অটোস্ট্যান্ড। প্রভাবশালীরা নিয়মিত চাঁদা তুলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অটোস্ট্যান্ডগুলো শহরতলিতে নিতে পারলে যানজট অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন অনেকে।
কিশোরগঞ্জ পৌর সচিব হাসান জাকির বলেন, যানজট নিরসনসংক্রান্ত কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো পৌরসভা বাস্তবায়ন করে থাকে। মূল কাজটি করে ট্রাফিক বিভাগ।
কিশোরগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) সৈয়দ মনিরুজ্জামান বলেন, যানজট নিরসনে কঠোর হয়েও কাজ হচ্ছে না। অনেক প্রতিবন্ধকতার পরও ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
কেকে/এজ