লোহাগাড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মোহাম্মদ শাহেদ (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) উপজেলার সাউন্ড হেলথ হাসপাতালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহেদ উপজেলার উকিলার পাড়া ৬ নং ওয়ার্ডের রহমত আলীর প্রথম পুত্র।
নিহত শাহেদের মা জানান, ছেলের শারীরিক অবস্থার খারাপ হওয়ায় নিয়ে গিয়েছিলাম লোহাগাড়া নতুন সাউন্ড হেলথ হাসপাতালে। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ভাল দিলেও পর্যায়ক্রমে যথেষ্ট অবহেলা করে যাচ্ছি। সাহেদের অবস্থা পর্যায়ক্রমে অবনতি হতে থাকলে স্বজনরা শাহেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চকেম হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও হাতসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার বার বিভিন্ন অজুহাতে রোগীকে ছাড়তে নারাজ। এক পর্যায়ে সাহেদের অবস্থা গুরতর লক্ষ করলে নার্স একের পর ইনজেকশন দিতে থাকেন। ৩য় ইঞ্জেকশন দেওয়ার সাথে সাথে সাহেদের গায়ে কাপুনি দিয়ে চোখ উল্টিয়ে মুহুর্তের শেষ নিঃশ্বাত ত্যাগ করে বলে জানান শাহেদের মা।
মৃতের ভাই সায়েম জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার ভাইকে শহরে নিয়ে যেতে চাইলেও তারা নিতে দেয়নি। এক পর্যায়ে অবস্থা অবনতি হলে একের পর এক আমাকে দিয়ে ইঞ্জেকশন এনিয়ে আমার ভাইয়ের শরীরে দিতে থাকে। সর্বশেষ ইঞ্জেকশনটি দিতে থাকা অবস্থায় আমার ভাই শাহেদের গায়ে ঝাকুনি দিয়ে চোখ উল্টিয়ে মারা যায়। সবশেষে আমার ভাইয়ের লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় আমাকে প্রথমে চিকিৎসার সব রিপোর্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের অবহেলার কারণে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণটা উপলব্ধি করতে পেরে একজন নার্স আমার হাত থেকে চিকিৎসার ফাইলপত্র নিয়ে চলে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রলয় দাশ জানান, যথাযথ নিয়মে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। সেবা প্রদানের পর রোগীর অবস্থা অগ্রগতি হয়। কিন্তু হঠাৎ শারীরিক অবস্থা গুরতর দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জরুরী সেবা প্রদান করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হলে চমেক হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতিকালে রোগী মারা যায়।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা ইকবাল হোসাইন জানান, ‘শাহেদের মৃত্যুর খবর পেয়েছে। আমি নিজেও তার শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন করেছিলাম। কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষারও পরামর্শ দিয়েছিলাম। এসময় তার শারীরিক অবস্থা তেমন খারাপ ছিলনা। চিকিৎসা অবহেলার বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ এমএস