বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে কাজ করার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউনিটার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সজীবকে আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অন্তর সফিউল্লাহকে সদস্যসচিব ও সৈয়ব আহমেদ সিয়ামকে মুখপাত্র করে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ আত্মপ্রকাশ করে।
সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় হলো—হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠ, পল্লবী মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন, মিরপুর ১২, ঢাকা ১২১৬, বাংলাদেশ।
এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এর মূল লক্ষ্য শহিদ এবং আহতদের নিয়ে গবেষণা, প্রকাশনা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা, শহিদ ও আহতদের পরিবারের যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখা।
সংগঠনটির কাঠামোতে থাকবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ, যার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে সংগঠনের সকল কার্যক্রম। বিশেষভাবে, শহিদ ও আহতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদের মতামতকে সর্বোচ্চ প্রাধন্য দিয়ে সংগঠনটি তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে।
গবেষক ও উপদেষ্টা পরিষদ: ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ উপদেষ্টা গণের দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে। সম্মানিত উপদেষ্টা পরিষদে আছেন বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও নির্বাহী পরিচালক, বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিআরএফ), ডা. এস এম ইয়াসির আরাফাত (সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বিআরএফ), মোহাইমিন পাটোয়ারী (লেখক), মোনায়েম খান (শিক্ষক, আইন বিভাগ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি), এবং ফারহিন ইসলাম (গবেষক, বিআরএফ)।
ইতোমধ্যে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’ শহিদদের নিয়ে একটি বই সিয়ান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশ করেছে, ২৪ গণঅভ্যুত্থান ইতিহাস প্রামাণ্য সংকলন ‘শহিদদের শেষ মুহূর্তগুলো’ (১ম খণ্ড)। এই বইয়ে ২৬ জন শহিদের শেষ মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। বইয়ে থাকা প্রত্যেকটি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার সরাসরি গ্রহণ করেছে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’-এর সদস্যবৃন্দ। বইটি রেফারেন্স বুক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’-এ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন এবং শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবেন।
কেকে/এএম