চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। ডায়রিয়া ছাড়াও জ্বর, পেটের পীড়া, সর্দি-কাশি, বুক ও শরীরের ব্যথা সহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভীড়ও লক্ষ করা গেছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া একই পরিবারের ১১জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড গিয়ে দেখা যায়, ছেংগারচর পৌরসভার ঠাকুরচর গ্রামের মো. রিপন মিয়ার পরিবারের ১১ জন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। ৩জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়, গত ৫দিনে ২১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যা বেশি।
উপজেলার ঠাকুরচর গ্রামের মো. রিপন মিয়া জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে আমার স্ত্রী আসমা আক্তার (৩৫), আমার মা, ছেলে সন্তান সহ ১১জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে পরে। পরে তাদেরকে মরাধন হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে দেয়।
ঘনিয়ারপাড় গ্রামের সহিদা বেগম জানান (৬৫) জানান, ইফতারের পরে পেটে সমস্যা দিলে কয়েকবার টয়লেটে গিয়েছি। শরীরেরে অবস্থা খারাপ হলে আমার ছেলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন, খোলা-বাসী খাবার খাওয়া, সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজা পোড়া বাসি খাবার খাওয়ায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, রোজার দিনে হাটে বাজারে দোকানের সামনে রাস্তার পাশে খোলা স্থানে ইফতার সামগ্রী বেচা বিক্রির কুফলের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এসব বন্ধ ও সচেতনতা খুব জরুরি। এক উত্তরে তারা জানান, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। স্যালাইন সহ ঔষধপত্রের তেমন সংকট নেই।
কেকে/ এমএস