চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সালেহা বেগম (৭০) নামে এক অসহায় ভিক্ষুক মহিলার বসতঘর ভেঙে নিয়েছে প্রতিবেশী। গত ১১ মার্চ সকালে উপজেলার সাহাবাজকান্দি গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধ মহিলার নাতী ইয়াছিন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, বৃদ্ধা সালেহা বেগম তার স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটামাটিতে একটি ছোট ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন বিগত দিন ধরে। তার কন্যা নাজমা আক্তার স্বামীর সংসার করেন। তাই ওই বৃদ্ধা মহিলা একাই দিনাতিপাত করছেন। তার জীবিকা নির্বাহ করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে সহযোগিতা এনে কোনরকম বেঁচে আছেন। কিন্তু এরই মাঝে তার প্রতিবেশী নুর হোসেনের ছেলে শামীম মিজি ও শামীম মিজির মা ওই অসহায় বৃদ্ধার ঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে যায়। ফলে ওই মহিলা একমাত্র আবাসস্থল হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘন কার্যক্রমের কারণে ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় বেশ সমালোচিত হয়েছে।
বৃদ্ধা সালেহা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে এই জায়গায় থাকতেছি। তারা নাকি এইখানে জায়গা কিনেছে বলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আজকে আবার আমার ঘর ভেঙ্গে নিল। ঘরে থাকা টাকাসহ সবকিছুই নিয়ে গেল, আমি এখন থাকব কোথায়?
সালেহার মেয়ে নাজমা বলেন, আমি খবর পেয়ে এসে দেখি আমার মায়ের থাকার ঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে শামীম ও তার মা-সহ কিছু লোকজন। তারা দাবি করছে এই জায়গা নাকি কিনে নিছে। অথচ আমরা কারো কাছে কোন জায়গা বিক্রি করি নাই। তারা ক্ষমতার জোরে আমাদের ওপর অত্যাচার করছে। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তারা আমার মায়ের ঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে গেল।
অভিযুক্ত শামীম মিজি বলেন, আমি এই জায়গা কিনেছি দলিলও আছে। তাদেরকে একাধিকবার সরে যেতে বললেও যায়নি। তাই আমি মামলা করেছি। মামলা করার কারণে তারা আমাদের ওপর অত্যাচার করে, তাই ঘর ভেঙ্গে ফেলেছি।
এদিকে ঘটনার পর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কেকে/এজে