শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫,
১ চৈত্র ১৪৩১
বাংলা English

শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম: ‘ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠিত হলে ধর্ষণ কমে যাবে’      হাইকোর্টে আবরার হত্যার রায় আগামীকাল      বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা       জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দুপুরে বিএনপির বৈঠক      টার্গেট কিলিংয়ের পথে হাঁটছে ‘র’      ধর্ষণকাণ্ডের শেষ কোথায়      নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে      
খোলাকাগজ স্পেশাল
ধর্ষণকাণ্ডের শেষ কোথায়
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৬ এএম  (ভিজিটর : ৫১)
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

দেশে অব্যাহতভাবে বেড়ে চলছে ধর্ষণের মতো অপরাধ। ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয় নারী ও শিশুরা। এমনকি নিকটজনদের হাতেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে শিশুধর্ষণ। সম্প্রতি মাগুরার আট বছর বয়সি শিশু আছিয়ার সঙ্গে ঘটে যওয়া পাশবিক ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তার মর্মান্তিক মৃত্যু দেশের প্রত্যেক বিবেকবান মানুষকে কাঁদিয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। 

দেশে মহামারির মতো ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে একাধিক বিষয়কে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। সমাজে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, পুলিশের ভূমিকাসহ একাধিক কারণ চিহ্নিত করেছেন তারা। দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ-আন্দোলনের মুখে ২০২০ সালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা সত্ত্বেও কেন কমছে না নারী ধর্ষণ নাগরিক সামাজে ঘুরছে এ প্রশ্ন। 

গত কয়েকদিনে শিশু আছিয়া ছাড়াও একাধিক শিশুধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সেলিম উদ্দিন (৫০) নামের এক দোকানিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গতকাল শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৪ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় নিজ ক্লিনিকের নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সারা দেশে ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদের মধ্যেও থেমে নেই এই ঘৃণ্য অপরাধের প্রবণতা। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্ষণ বা নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনটি কঠিন হলেও প্রক্রিয়াগত বিষয়ে বা আইন বাস্তবায়নে তদন্তকারীর ও রাষ্ট্রপক্ষের দুর্বলতা রয়েছে। ফলে মামলার সর্বশেষ পরিণতি সমঝোতায় গিয়ে ঠেকে। তাতে আসামি জামিন পায় এবং অপরাধের দণ্ড থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মৃত্যুদণ্ড থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে ঘটনাগুলো ঘটে মামলাগুলোর বিচার হয় না এবং শুনানি না করে ঝুলে থাকে। আর মৃত্যুদণ্ড আছে এটি জানার পর ধর্ষণের প্রমাণ মুছে ফেলতে ভুক্তভোগীকে হত্যার প্রবণতা বাড়ে। ধর্ষকের ধারণা, ঘটনা প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত। তাই কোনো চিহ্ন বা আলামত না রাখতে ধর্ষণের পর ভুক্তভোগীকে হত্যার করা হয়। ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডটা শাস্তি হিসেবে আসা উচিত। যেন শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।

ধর্ষণের পেছনে মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে বলেও মনে করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে মনস্তাত্ত্বিকভাবে পুরুষের তুলনায় এখনো নারীদের দুর্বল হিসেবে ভাবা হয়। যে কারণে সুযোগসন্ধানী চরিত্রগুলো টার্গেট হিসেবে নারীদের বেছে নেয়। সেটাও ধর্ষণের অন্যতম কারণ। এখন মানুষের মনোভাবটা এমন যেন অপরাধ করলেও কেউ ধরতে পারবে না বা পার পেয়ে যাবে। আর এখন যেহেতু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকটাই ঢিলেঢালা, তাই তারা মনে করে অপরাধ করলেও তাদের ধরার মতো সেরকম ব্যাপার নেই। 

মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের তথ্যমতে, ধর্ষণের শিকার ৭৫ শতাংশ নারীকে স্থানীয় পুলিশ মেডিকেল টেস্টের নামে অপেক্ষা করতে বাধ্য করে। এফআইআর করতে অস্বীকৃতি এবং নানা রকম নথিপত্র বা প্রশাসনিক ধমক প্রয়োগের মাধ্যমে মেডিকেল টেস্ট বিলম্বিত করে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীরা নানাভাবে ধর্ষণের ঘটনাটি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আর এর মধ্য দিয়ে সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে যায়। ফলে ভিকটিমের বিচার পাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। 

আইনজীবীরা বলছেন, ধর্ষণ, ইভ টিজিং (উত্যক্ত করা) বা হয়রানি এসব অভিযোগে সুনির্দিষ্ট শাস্তি রয়েছে। তবে দেশের আইন শক্ত হলেও সংজ্ঞার ভুল ব্যাখ্যা ও ব্যবহারের কারণে ভুক্তভোগীর বিচার পাওয়া অনেক সময় দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বলেন, আমাদের দেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় ভুল রয়েছে। প্রেমের প্রলোভন দেখানো এটাকেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এফআইআরে যখন লেখা হয় বিয়ের প্রেমের নামে প্রতারণা বা শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে, এর ফলে যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা হলো ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকেও খর্ব করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আরেকজন আইনজীবী ফওজিয়া করিম বলেন, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, এটিই মূলত এ ধরনের অপরাধকে প্রভাবিত করে। অপরাধকে ঢাকার জন্য অর্থ ও রাজনীতির ব্যবহারের ফলে মানুষ মনে করতো আমরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাব। 

ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। অভিযোগ আছে তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনেক সময় গাফিলতি করেন। এমনকি ভিকটিমকে অভিযুক্তের সঙ্গো আপস রফা করার জন্য চাপ দেওয়ারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, আসল দুর্বলতা হলো পুলিশের। একটা মামলা প্রমাণ করতে হলে কোর্টে সাক্ষীকে আনতে হবে। সাক্ষীকে আনার দায়িত্ব পুলিশের, কিন্তু এই কাজটা পুলিশ মোটেই করে না বা চেষ্টা করেও সাক্ষীকে আনতে পারেন না।

অনেক সময় রাষ্ট্রপক্ষ সঠিকভাবে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে না, ফলে মামলা দুর্বল হয়ে পগে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারী-শিশু নির্যাতন, দমন ও ধর্ষণের আইনটি অত্যন্ত কঠোর। কিন্তু প্রমাণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। রাষ্ট্রপক্ষ যদি সবকিছু ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারে তাহলে মামলা দুর্বল হয়ে যায়। প্রসিকিউশনে জড়িতদের বিরাট দায়িত্ব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নথিপত্রে তথ্য-প্রমাণাদি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না, যে কারণে মামলা দুর্বল হয়ে যায়। 

ধর্ষণের মামলা বছরের পর বছর ঝুলতে থাকাও বিচারহীনতার আরেকটি কারণ বলে উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, ধর্ষণের বিচার বছরের পর বছর ঝুলতে থাকলে সামাজিক নানা ধরনের পরিস্থিতির তৈরি হতে থাকে। আর ভিকটিমের বিচার চাওয়ার পজিশনও অনেক ক্ষেত্রে থাকে না। সামাজিক চাপ তৈরি হয়, তার ওপর পরিস্থিতির শিকড় গজাতে শুরু করে। সে হয়তো অন্য একটি জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে থাকে। সেখানে ভিকটিমকে পুরনো ক্ষতটা মনে করিয়ে দেওয়া মানে তাকে মানসিকভাবে ডিমোরালাইজ করা। এ জায়গাগুলো তখন ভিকটিম নিতে চায় না। 

মাগুরায় অভিযুক্তের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল জনতা

মাগুরায় নির্যাতনে মারা যাওয়া আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির প্রথম জানাজার পর বিক্ষুব্ধরা হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। হিটু শেখের প্রতিবেশী আলেক শেখ বলেন, আমাদের এলাকায় অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি। এটি আমাদের জন্য অসম্মানজনক। এখানে ধর্ষকের কোনো ঠাঁই হবে না। ঘটনার পরপরই আমরা এই বাড়িটি ধর্ষকের বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করেছি।

৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, পাঁচ হাজার টাকায় মীমাংসার চেষ্টা 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ইব্রাহিম নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পাঁচ হাজার টাকায় বিষয়টি রফাদফা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

সিরাজগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৪ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি। ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ওই কিশোরের বাড়িতে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে তার মা শিশুদের দেখাশোনা করেন। সেই সুবাদে ৯ মার্চ সকাল ১০টার দিকে আমার মেয়ে ওই বাড়িতে যায়। কিন্তু বাড়িতে মা-বাবা না থাকার সুযোগে ওই কিশোর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে বাড়ি ফিরে ওর মাকে সব জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত কিশোরের পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার পর মেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার আমার মেয়েকে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মনসুর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল 

মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্ত অফিসারের শাস্তির দাবিতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কয়েকশ ছাত্রছাত্রী সদর থানা ঘেরাও করে রাখেন। পরে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমারকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া মেহেরপুর সেনাবাহিনীর মেজর ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় গিয়ে ছাত্র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষকের বিচার হবে বলে আশ্বাস দেন।

জানা যায়, গেল বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চকলেট দেওয়ার নাম করে মেহেরপুরে ৯ বছরের শিশুকে এক তরুণ তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছেলের এক বন্ধু এ ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। এরপর আবারও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাধ্য হয়ে শিশুটির মা বাদী হয়ে ৩ জনের নামে মেহেরপুর আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। আসামিরা গ্রেফতার হয়ে কয়েক মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়।

জামিনের পর তারা আবারও ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার বাদী প্রতিকার চেয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই সুজয় কুমার উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসেন। এ সময় এসআই সুজয় কুমার ধর্ষণ মামলার আসামিদের পক্ষ থেকে বাদীকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত চাপ দিতে থাকেন। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে প্রতিবাদ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী তুষার ইমরান ও সিয়াম আহাম্মেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই সুজয় কুমার থানার মধ্যেই তুষার ও সিয়ামের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন। 

ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে পল্টনে মুসল্লিদের বিক্ষোভ 

প্রকাশ্যে ধর্ষকের শাস্তির দাবি এবং শাহবাগে পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের সামনে প্রথম সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এরপর রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুসল্লিরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আর কোনো আছিয়ার যেন মৃত্যু না হয়। ধর্ষকের প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হোক। ধর্ষণকারীদের ফাঁসি দিতে হবে।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে ব্যক্তির দায়িত্ব দল নিবে না: ব্যারিস্টার খোকন
মতলবে লেংটার মেলায় ৫শতাধিক গাঁজার দোকান ও নৃত্যের আসর বসানোর পায়তারা
‘ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠিত হলে ধর্ষণ কমে যাবে’
বাউফলে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
নাটোরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক ২

সর্বাধিক পঠিত

জামালপুরে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে বিএনপি নেতার হুমকি
সাইক্লিস্টের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত হোক
ইভটিজারের মাথা ন্যাড়া করে দিলেন বিক্ষুব্ধ জনতা
টার্গেট কিলিংয়ের পথে হাঁটছে ‘র’
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া মানবিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close