মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫,
৯ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
শিরোনাম: নির্বাচনে জনআস্থা ফিরিয়ে আনাই ইসির বড় চ্যালেঞ্জ: সাইফুল হক      বাজারে বাণিজ্য উপদেষ্টার মনোযোগ বাড়াতে হবে: ইসলামী আন্দোলন      কোনো অভ্যুত্থান বা বিপ্লব ৩৬ দিনে হয় না: রুমিন ফারহানা      সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবে না পুলিশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা      বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি      আমরা এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ দরিদ্র থাকবে না: ড. ইউনূস      দেশের ভূখণ্ডে আরকান আর্মি, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন      
গ্রামবাংলা
৬শত বছরের সাক্ষী রাণীশংকৈলের প্রাচীন যুগের তিন গম্বুজ মসজিদ
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম  (ভিজিটর : ২২৪)
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে প্রাচীন যুগের ঐতিহাসিক ৬শত বছরের নির্মিত পুরনো তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি উপজেলার হোসেগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটি  উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে অন্যতম।

ঘনবসতিপূর্ণ মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকা ১৪২৫ সালে নির্মিত এই তিন গম্বুজ মসজিদটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাত্র ২২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট প্রস্থ। মসজিদের মিনারের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। মসজিদটির ভিতরে রয়েছে চুন সুরকির বাহারি ডিজাইনের নকশা একেকটি পাথরে খোদাই করা রয়েছে আরবি বর্ণমালা। কালের বিবর্তনে এখন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় মসজিদটির সাথে নতুন একটি অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে। আগে ছোট্ট ঐ মসজিদের ভিতরে মাত্র ৩০-৪০ জন্য মানুষ নামাজ আদায় করতে পারতো। এখন নতুন ঘর নির্মাণ করার ফলে অনেক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে।

এক সময় ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে আসেন বুড়া পীর নামে একজন বুজুর্গ, তার স্ত্রী সন্তান কেউ ছিলো না। পীর সাহেব  ঐ এলাকার কয়েকজন মুসল্লি নিয়ে নির্মিত করেন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি। এমন তথ্য পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে।
মসজিদটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকে থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরাই পারে এই শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনাটিকে রক্ষা করতে।

স্থানীয় বাসিন্দা অব. আর্মি রেজাউল করিম বলেন, এই মসজিদ সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, এটি মোঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল।

আমাদের পূর্বপুরুষরাই এটি নির্মাণের পর থেকেই দেখাশোনা করে আসছেন। সে আমলে জনবসতী কম থাকায় ছোট পরিসরে নির্মিত হয় মসজিদটি। মাত্র ৩০থেকে ৪০ জন মুসল্লি দুই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন। এখন চারপাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি। কিন্তু মসজিদটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার ফলে এটি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার করা হয়।

মসজিদের সভাপতি ইয়াসিন আলী জানান, এই মসজিদটির ইতিহাস আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শুনে এসেছি এখানে একজন পীর এসেছিলেন তিনিই এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এক সময় পীর সাহেবের মৃত্যু হয়। পরে তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হয়। তবে কেউ বলছে ৬শত বছরের পুরনো আবার কেউ বলছে ৭ শত বছরের পুরনো, তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে কয়েকজন এসেছিলেন এখানে তারা ল্যাব টেস্ট করে বলেছেন এটি ৬০০ বছরের অধিক পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

‘আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠন হবে’
কুয়েটে অনশনরত চার শিক্ষার্থী অসুস্থ
নির্বাচনে জনআস্থা ফিরিয়ে আনাই ইসির বড় চ্যালেঞ্জ: সাইফুল হক
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মাঝে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
বাজারে বাণিজ্য উপদেষ্টার মনোযোগ বাড়াতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

সর্বাধিক পঠিত

খোলা কাগজে সংবাদ প্রকাশের ৫ ঘণ্টার মধ্যে কোটি টাকা ফেরত দিলেন মেয়র
বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হার্ট অ্যাটাকে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও, বিক্ষোভকারীদের ওপর বিএনপির হামলা
অটোচালকদের আড়ালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের তাণ্ডব
‘আমার লজ্জা নেই’ পোশাক-চেহারা বিতর্কে যা বললেন বিদ্যা

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close