পটুয়াখালীর বাউফলে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে নাজনিন জাহান কুমকুম (১৫) নামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামের খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কুমকুম ওই গ্রামের নজরুল খানের মেয়ে ও পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে ওই শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করে আসছে প্রতিবেশি রিয়াদুল ইসলাস তাওসীন (১৫) নামের এক কিশোর। সে ওই একই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণির ছাত্র। বিষয়টি কুমকুমের পরিবার তাওসিনের চাচা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানায়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল শুক্রবার নিহত কিশোরী ও তার এক সহপাঠী কিশোরের একসাথে তোলা একটি ছবির সাথে নোংরা মন্তব্য লিখে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত তাওসিন। এরপরে খাতায় একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন কুমকুম।
চিঠিতে কুমকুম লিখেছে ‘আমি আমার নিজের ইচ্ছায় কিছু করিনি, আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। ওই ছেলের জন্য ওর পরিবারের জন্য আমার জীবন থেকে মনে হয় সব সুখ সাতি(শান্তি) চলে (গেছে)‘।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগী পরিবার। তবুও অভিযোগের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
কেকে/এআর