থাই পেয়ারা থ্রি চাষ করে বিপুল লাভবান হয়েছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার সিংহরিয়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন। তার বাগানে উৎপাদিত পেয়ারা স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়।
প্রায় দেড় বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা এ পেয়ার বাগান থেকে চলতি মৌসুমে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মুনাফা অর্জনের প্রত্যাশা করছেন আলতাব। কৃষি বিভাগের কমকর্তা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের লোকজন প্রায় প্রতিদিন তার পেয়ারা ক্ষেত দেখতে আসেন।
পেয়ারা চাষি আলতাফ জানান, পৈতৃক দেড় বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পেঁপে, আম, লিচুসহ নানা ধরনের ফলের চাষ করে আসছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি বছর খানেক আগে পেয়ারা চাষ শুরু করেন।
চুয়াডাঙ্গা থেকে থাই পেয়ারার ৩৫০ পিচ চারা এনে নিজ জমিতে বাগান গড়ে তোলেন। গাছ লাগানোর পর প্রথম বছর অফ সিজনে মোটামুটি ফলন হয়। চলতি মৌসুমে তার বাগানে পেয়ারার আরো ভালো ফলন হয়েছে।
মাস দুয়েক ধরে তিনি স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি চালানে ৬০ থেকে ৭০ মণ পেয়ারা বিক্রি করছেন। আগে একটু বেশি দাম পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রতি কেজি থাই পেয়ারার পাইকারি দর ৪০-৪৫ টাকা।
তার বাগানের পেয়ারা সম্পূর্ণ কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা তুলনামূলক বেশি বলে জানান তিনি।
আলতাফ হোসেনেন ভাষ্যমতে থাই পেয়ারার আবাদ যথেষ্ট লাভজনক। প্রতি একর জমিতে থাই পেয়ারা চাষে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেয়ারা বিক্রি হয় ৮৫ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। বাজারে খুচরা ২ হাজার টাকা মণ এবং কেজি ৫০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।
পেয়ারা চাষ করে আলতাফ শুধু নিজে লাভবান হচ্ছেন তা নয়, এলাকার অনেক গরিব মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এতে। লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষকই থাই পেয়ারা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, সিংহরিয়া গ্রামের আলতাফ পেয়ারা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাটি থাই-৩ পেয়ারা চাষের জন্য উপযোগী।
কেকে/এএম