ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাজহারুল ইসলাম(২৬) নামে এক যুবকের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে তার এক নারী সহকর্মীর বিরুদ্ধে।
শবিবার (১৫ মার্চ) ভুক্তভোগী মাজহারুল ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান। ভুক্তভোগী মাজহারুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের ইদুয়াবাদ গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
অভিযোগ দায়েরের পর ভুক্তভোগী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করি। সেই সুবাদে বিগত এক বছর আগে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার দিবাকর এলাকার ছেলেবেলো গ্রামের দিশা হোসাইনের সাথে পরিচয় হয়। দিশা ওই গ্রামের সানোয়ার হোসেন দুলালের মেয়ে। ফেসবুকে সহকর্মী পরিচয়ে কিছুদিন আমার সাথে কথা বলার পর দিশা সাক্ষাতের বায়না ধরে। আমি না করলেও সে মানতে নারাজ। এক পর্যায়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করি। সে সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করি। তখন সে আমাকে ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি ধারণ করে। পরবর্তীতে সে এসব ছবি ও ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। বেশ কয়েকবার আমি টাকা দিয়েছি। কিন্তু পরে বারবার যখন টাকা দাবি করে, তখন আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমার এলাকার লোকজনের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে মানহানি করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী মাজহারুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুবাদে সহকর্মী পরিচয়ে তারা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথাবার্তা বলতেন। সহকর্মী দিশা হোসাইনের আবদারে প্রায় সাড়ে পাঁচমাস পূর্বে তারা পাঁচবিবি উপজেলায় সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা ওই এলাকা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা এবং খাওয়া-দাওয়া করেন। সে সময়ে ধারণ করা কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে দিশা হোসাইন। এতে ভুক্তভোগী মাজহারুল ইসলাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দিশা হোসাইন মাজহারুলের এলাকার লোকজনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি দিয়ে মানহানিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই সুযোগে ভুক্তভোগীর এলাকার কিছু লোকজনও টাকা আদায় করতে নানা ধরছেন ষড়যন্ত্র করছে। তাই মাজহারুল বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে বিচারপ্রার্থী হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এজে